স্বজনসহ বন্দি ৫৫ হাজার আইএস: বিচার কিংবা মুক্তির আহ্বান জাতিসংঘের

ইরাক ও সিরিয়ায় বন্দি হাজার হাজার আইএস সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হয় বিচার কিংবা মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্ল্যাচেত। তিনি বলেন, যদি সাজাপ্রাপ্ত না হয় তবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর উচিত তাদের নাগরিককে ফিরিয়ে নেওয়া। সাজাপ্রাপ্ত না হওয়া বন্দিদের দায়ভার সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোর বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

_107512188_gettyimages-1125487997

২০১৭ সালের শেষ দিকে ইরাক বিজয় ঘোষণার আগ পর্যন্ত সিরিয়া ও ইরাকে বিশাল ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতো আইএস। সিরিয়ায় আইএসবিরোধী যুদ্ধে প্রধানভাবে অংশ নেয় মার্কিন সমর্থিত কুর্দি যোদ্ধারা। মার্চ মাসে সিরিয়ায় আইএসের সর্বশেষ ঘাঁটি দখল করে তারা। জাতিসংঘ জানিয়েছে এখনও সেখানে প্রায় ৫৫ হাজার আইএস সদস্য ও তাদের স্বজন বন্দি রয়েছেন।

মিশেল ব্ল্যাচেত বলেন, আটকৃত এসব বন্দীকে মামলা বা মুক্তির জন্য মুখোমুখি হতে পারেন। তিনি বলেন, এসব নাগরিকের ব্যাপারে রাষ্ট্রগুলোর অবশ্যই দায় নিতে হবে। আগে থেকেই দুর্ভোগে আক্রান্ত স্বজনরা সন্তানরা যেন ভিটেমাটিহীন না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ৫০টি দেশ থেকে আগত বিদেশি সদস্য ও ১১ হাজার স্বজনসহ ৫০ হাজার মানুষ উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার আল হোল ক্যাম্পে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মিশেল ব্ল্যাচেত বলেন, স্বাধীন, নিয়মতান্ত্রিক ও ধারাবাহিক বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে।’ তবে নিরপরাধ নাগরিকদের আটকে রাখা এক্ষেত্রে উচিত হবে না বলেও দাবি করেন তিনি।

২০১৪ সালে সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তৃত অঞ্চল থেকে সরকারি বাহিনীকে সরিয়ে দিয়ে ‘খেলাফত’ ঘোষণা করে আইএস নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি। তবে গত বছরের শেষ দিক থেকে ব্যাপক সামরিক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে সংগঠনটি। ইরাক ও সিরিয়ায় নিয়ন্ত্রিত বিস্তৃত অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে তারা।