পাকিস্তান সফরে পৌঁছেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট

দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার সকালে পাকিস্তান পৌঁছেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। ইসলামাবাদের নুর খান বিমান ঘাঁটিতে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য, টেক্সটাইল ও শিল্প উৎপাদন বিষয়ক উপদেষ্টা আবদুল রাজ্জাক দাউদ। পরে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন আফগান প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক জোরালো করাই এই সফরের উদ্দেশ্য।পাকিস্তানে আফগান প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়

সম্প্রতি আফগানিস্তানের ১৮ বছরের যুদ্ধ অবসানের উপায় খুঁজতে পাকিস্তানে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আফগানিস্তানের রাজনৈতিক নেতারা এ বৈঠকে অংশ নেন। ওই বৈঠক শেষের এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে ইসলামাবাদ সফর করছেন আশরাফ ঘানি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠিত এই সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন মন্ত্রিসভার সদস্য, উপদেষ্টা এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি দল।

নুর খান বিমান ঘাঁটি থেকে আশরাফ ঘানিকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান শেষে পরস্পরের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন দুই নেতা। পরে তারা একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। এই বৈঠকের আলোচনায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহায়তা এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি স্থান পায়।

পরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশির সঙ্গেও বৈঠক করেন আফগান প্রেসিডেন্ট। বৈঠকে আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন ঘানি। বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে রাজনীতি, বাণিজ্য, অর্থনীতি, নিরাপত্তা, শান্তি এবং পুনর্বাসন, শিক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহায়তা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এ বছরের শুরুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের যুদ্ধের মূলে রয়েছে পাকিস্তানের শহর ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি এবং কোয়েটা। ইসলামাবাদ পাকিস্তানের রাজধানী, রাওয়ালপিন্ডিতে দেশটির সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। আর আফগানিস্তানের অভিযোগ, কোয়েটায় তালেবান নেতাদের আস্তানা রয়েছে। ইসলামাবাদের তরফে তালেবানদের সহায়তার কথা অস্বীকার করা হয়। আর বলা হয় আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একটি রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা করছে পাকিস্তান। তবে আফগান কর্মকর্তারা এ নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।