প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ইরানি ট্যাংকার ক্রু-দের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে: জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ

জিব্রাল্টার প্রণালিতে যুক্তরাজ্যের নৌ সেনাদের হাতে আটক হওয়া ইরানি তেল ট্যাংকারের ক্রু-দের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সন্দেহভাজন অপরাধী হিসেবে নয়, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে প্রচেষ্টা চলছে কার্গোর ধরন ও এর চূড়ান্ত গন্তব্য সম্পর্কে জানার। যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রণে থাকা জিব্রাল্টার এলাকার মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রতীকী ছবি
স্পেনের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত জিব্রাল্টার উপত্যকা। ১৭১৩ সালের ইউট্রেট চুক্তি অনুযায়ী ভূখণ্ডটি যুক্তরাজ্যের কাছে হস্তান্তর করে স্পেন। ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে একজন নির্বাচিত গভর্নর ওই অঞ্চলটির শাসন করে থাকেন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সেখানকার সমুদ্র সীমায় ইরানের গ্রেস ওয়ান নামক তেল ট্যাংকার আটক করে জিব্রাল্টার বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। তাদের দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ইরানি ট্যাংকারটি তেল নিয়ে সিরিয়ায় যাচ্ছিলো। ট্যাংকার আটককে ‘অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে ক্ষোভ জানিয়েছে ইরান। তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকেও তলব করেছে দেশটি। ট্যাংকারে থাকা ক্রদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জানান, ২৮ জন কেবিন ক্রু এর বেশিরভাগই ভারতীয়। এছাড়া কয়েকজন পাকিস্তান ও ইউক্রেনের নাগরিকও রয়েছেন। পুলিশ ও শুল্ক কর্মকর্তারা ট্যাংকারটিতে অবস্থান করছেন ও তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তবে রাজকীয় নৌ সেনারা সেখানে আর অবস্থান করছেন না।

উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে ইরানের মিত্র দেশ সিরিয়ায় তেলবাহী জাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে এটি কখনও কোনও জাহাজকে সাগরপথে আটকে দেয়নি। ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মতো অতো ব্যাপক নিষেধাজ্ঞাও জারি রাখেনি ইউরোপ।