বিচারকের ‘স্বীকারোক্তির ভিডিও’ ফাঁস: গোপন শক্তির প্ররোচনায় নওয়াজ দোষী সাব্যস্ত

দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে দোষী সাব্যস্ত করতে অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্টের বিচারপতিকে ‘ব্ল্যাকমেইল ও বাধ্য’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার কন্যা মরিয়ম নওয়াজ। শনিবার (৬ জুলাই) লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এর প্রমাণস্বরূপ একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছেন মরিয়ম। ফাঁস হওয়া সেই ভিডিওকে ‘সাজানো’ উল্লেখ করে এর ফরেনসিক অডিট দাবি করেছে ইমরান খানের সরকার। একে বিচার বিভাগের ওপর আক্রমণ আখ্যা দিয়েছেন তারা।

নওয়াজ শরীফ (বায়ে) ও মরিয়ম নওয়াজ (ডানে)গত বছরের ডিসেম্বরে আল আজিজিয়া দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কোট লাখপাত জেলে আছেন তিনি। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় মরিয়ম অভিযোগ করেন, তার বাবার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া একেবারেই যথাযথ ছিল না। সে সময় ইসলামাবাদের অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্টের বিচারপতি আরশাদ মালিক ও পিএমএল-এন-এর সমর্থক নাসির বাটের কথোপকথনের একটি ভিডিও হাজির করেন মরিয়ম। ওই কথোপকথনে বিচারপতি আরশাদ স্বীকার করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার জন্য গোপন শক্তি তাকে ‘ব্ল্যাকমেইল ও জোর-জবরদস্তি’ করেছে।

মরিয়মের দাবি, বিচারপতি আরশাদ মালিক নিরপেক্ষভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে নওয়াজের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং কিংবা অন্য কোনও আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ নেই। তারপরও নওয়াজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। নওয়াজ কন্যার অভিযোগ, তার বাবার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণার জন্য ওই বিচারপতিকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিলো। কিছু মানুষ তাকে হুমকি দিয়েছিল সাজা ঘোষণা না করলে তার (বিচারপতির) ব্যক্তিগত একটি ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়া হবে। মরিয়ম দাবি করেন, বিচারপতি আরশাদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের রায় লিখেননি, বরং তাকে দিয়ে ওই রায় লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। তখন থেকে ওই বিচারপতি কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলেও দাবি তার।

মরিয়ম মনে করেন, এ ভিডিও প্রকাশের পর নওয়াজ শরিফকে আর কারান্তরীণ রাখা উচিত নয়। নওয়াজের জামিনের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ভিডিওটি ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।