প্রতি সপ্তাহে একটি করে জলবায়ু বিপর্যয় ঘটছে, জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি করে জলবায়ু বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। বিশ্ব সংস্থাটি বলছে, এসব বিপর্যয়ের বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাচ্ছে না। জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রস্তুতির জন্য জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ দরকার বলে সতর্ক করে দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত মামি মিজোতোরি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব হুঁশিয়ারির কথা জানান তিনি।ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত মোজাম্বিকের একটি গ্রাম

জাতিসংঘ মহাসচিবের দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন বিষয়ক বিশেষ দূত মামি মিজোতোরি বলেন,মোজাম্বিকে ইদাই ও কেন্নাথের মতো সাইক্লোন ও ভারতের খরা বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। কিন্তু জলবায়ু প্রভাবের সীমিত প্রভাব থাকা অন্য অনেক বেশি ঘটনা আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাচ্ছে না। যদিও এসব ঘটনা ধারণার চেয়েও বেশি দ্রুত গতিতে মৃত্যু, বাস্তুচ্যুতি ও দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে। তিনি বলেন, এটা ভবিষ্যত নয়, আজকের দিনেই ঘটছে।

তিনি বলেন, এর অর্থ হলো জলবায়ু সংকটের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোকে আর দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। এই মুহূর্তে অন্যতম জরুরি প্রয়োজন বিনিয়োগ। অভিযোজন ও প্রতিরোধ নিয়ে মানুষের আরও বেশি কথা বলার দরকার।

প্রতিবছর জলবায়ু সংশ্লিষ্ট বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতির পরিমাণ ৫২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। বৈশ্বির উষ্ণতা বৃদ্ধি ঠেকাতে অবকাঠামো নির্মাণে পরবর্তী ২০ বছর ধরে খরচ হবে দুই লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। মিজোতোরি বলেন, অবকাঠামো নির্মাণের প্রেক্ষাপটে এটা অনেক বেশি বিনিয়োগ না। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা যথেষ্ট কিছু করছেন না। প্রতিরোধ অবকাঠামো ভর্তুকি হওয়া উচিত। মানুষ পরে এর মূল্য পরিশোধ করবে।

মানুষ যদি আগেই মারাত্মক আবহাওয়ার সতর্কতা পায়, বন্যা প্রতিরোধক বা খরার জন্য পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নির্মাণ করা যায় তাহলে সীমিত প্রভাব জনিত বহু জলবায়ু বিপর্যয় প্রতিরোধ করা সম্ভব।