মুসলিম শিশুদেরকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ অস্বীকার চীনের

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিম শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ অস্বীকার করলো চীন। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিংর দাবি, শিশুদের তাদের অভিভাবকদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে না। এটা উগ্রবাদ থেকে তাদের দূরে রাখার প্রক্রিয়া। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

_107727503_comp_morekids

চীনে প্রায় দেড় কোটি উইঘুর মুসলমানের বাস। তাদের প্রতি চীনের আচরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে রয়েছে বেইজিং। গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় সেখানকার ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়ে ওই অঞ্চল সফরের প্রচেষ্টার কথা জানিয়েছিল। যুক্তরাজ্য সরকারও এনিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে চীনকে তাদের মনোভাব পরিবর্তনের তাগিদ দিয়েছে।

সম্প্রতি বিবিসির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, মুসলিম শিশুদের তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। সেজন্য তৈরি হয়েছে আবাসিক স্কুলও। তবে রবিবারে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে লিউ জিয়াওমিং বলেন, উগ্রবাদকে মোকাবেলা করতে উইগর সম্পদ্রায়ের সদস্যদের শিক্ষায় সম্পৃক্ত করা হচ্ছে এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হচ্ছে।

চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও অন্যান্য নথি বিশ্লেষণ করে বিবিসি জানিয়েছিলো, বিবিসি জানায়, জিনজিয়াংয়ের একটি শহরের চার শতাধিক শিশু হারিয়ে গেছে। তাদের বাবা-মাকেও আটকে রাখা হয়েছে। হয় আটককেন্দ্রে নয়তো কারাগারে।  মুসলিমদের তাদের পরিচয় নিশ্চিহ্ন করার পাশাপাশি শিশুদেরও তাদের মূল থেকে সরানোর প্রক্রিয়া ছিলো এটা।

জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ উইঘুর মুসলিম। এই প্রদেশটি তিব্বতের মত স্বশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশি মিডিয়ার ওপর এখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু গত বেশ কয়েক ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে যে, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ব্যাপক হারে আটকের শিকার হচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোও জাতিসংঘের কাছে এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে। উইঘুর মুসলিমদের গণহারে আটকের অভিযোগ এনেছে তারা। তবে চীন বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।