২১০০ সালে জনবহুল শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় থাকবে না বাংলাদেশ

২১০০ সালের দিকে বিশ্বের জনবহুল শীর্ষ দশটি দেশের তালিকায় থাকবে না বাংলাদেশ। জাতিসংঘের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে এমনটাই মনে করছে ওয়াশিংটনের পিউ রিসার্চ সেন্টার।

3-dhaka-bangladesh-352-million-people

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই শতাব্দীর শেষ দিকে বাংলাদেশ, ব্রাজিল, রাশিয়া ও মেক্সিকো বিশ্বের শীর্ষ দশটি জনাকীর্ণ দেশের তালিকায় থাকবে না। এই চারটি দেশকে স্থলাভিষিক্ত করবে আফ্রিকার কঙ্গো, ইথিওপিয়া, তাঞ্জানিয়া ও মিসর।

প্রতিবেদন অনুসারে, আগামী আট দশকে মেক্সিকোতে ১০ শতাংশ জনসংখ্যা বাড়তে পারে। একই সময়ে জনসংখ্যা কমবে ব্রাজিলে ১৫ শতাংশ, বাংলাদেশে ৮ শতাংশ এবং রাশিয়ায় ১৪ শতাংশ।

আর একই সময়ের মধ্যে আফ্রিকার দেশগুলোতে দ্বিগুণের বেশি বাড়তে পারে জনসংখ্যা। কঙ্গোতে ৩০৪ শতাংশ, ইথিওপিয়াতে ১৫৬ শতাংশ, তাঞ্জানিয়াতে ৩৭৮ শতাংশ এবং মিসরে ১২০ শতাংশ।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদন অনুসারে, ২১০০ সালের দিকে জনবহুল দশটি দেশের মধ্যে আটটি আফ্রিকার হতে পারে। তালিকায় আফ্রিকার বাইরে থাকা দুটি দেশ হতে পারে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। এই দুটো দেশের জনসংখ্যা বাড়তে পারে যথাক্রমে ১৮২ মিলিয়ন ও ১০৩ মিলিয়ন।

এছাড়া ২১০০ সালের মধ্যে যে দশটি দেশের জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি কমবে সেগুলোর একটিও আফ্রিকার না। এই দেশগুলো এশিয়া ও ইউরোপের। সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা কমতে পারে চীনে। ২১০০ সালের মধ্যে বর্তমানের তুলনায় চীনের জনসংখ্যা ৩৭৪ মিলিয়ন কমতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের সম্ভাব্য জনসংখ্যা কমে আসার পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান জনসংখ্যার চেয়ে বেশি হতে পারে। ২০২৭ সালের দিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হিসেবে চীনকে সরিয়ে দিতে পারে ভারত।

সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, এই শতাব্দীর শেষ দিকে কার্যত বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধি কমে আসতে পারে বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চলে সন্তান জন্মদানের পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে।

২১০০ সালের দিকে বিশ্বের জনসংখ্যা ১০.৯ বিলিয়নে পৌঁছাতে পারে। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়াবে ০.১ শতাংশ, যা বর্তমানের চেয়ে কম। ১৯৫০ থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিবছর বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়েছে ১ থেকে ২ শতাংশ হারে। জনসংখ্যা ২.৫ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ৭.৭ বিলিয়ন।