ইরানের জলসীমায় জাহাজ চলাচলে হুমকির মাত্রা বাড়ালো যুক্তরাজ্য

আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরানের জলসীমায় নিজেদের জাহাজ চলাচলের উপর হুমকির মাত্রা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ করেছে যুক্তরাজ্য। তারা জানায়,  হামলার হুমকি ‘গুরুতর’ পর্যায়ে রয়েছে। একদিন আগেই ওই অঞ্চলে ইরানের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ ট্যাংকার আটকের চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলো যুক্তরাজ্য। ইরান তা অস্বীকার করলেও হুমকির মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায় রাখার ঘোষণা দিলো ব্রিটেন।

_107830619_reuters

বুধবার ওমান ও পারস্য উপসাগরের মাঝামাঝি স্ট্রেইট অব হরমুজে একটি ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার প্রতিহতের চেষ্টা করায় একটি ইরানি নৌকাকে সরিয়ে দিয়েছে রয়্যাল নৌবাহিনীর একটি জাহাজ। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইরানি বিপ্লবী বাহিনীর পাঁচটি নৌকা ব্রিটিশ হেরিটেজ ট্যাংকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। পরে একটি ব্রিটিশ জাহাজ চলে এলে নৌকাগুলো সরে যায়।

এই ঘটনার পর ওই অঞ্চলের উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। চলমান আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার এই পদক্ষেপ নিল যুক্তরাজ্য।  দেশটির পরিবহন বিভাগ বলছে, উচ্চ মাত্রার ঝুঁকি রয়েছে এমন এলাকায় সব সময়ই যুক্তরাজ্যের জাহাজগুলোকে নিরাপত্তা নির্দেশনা দিয়েছে তারা।

বিবিসির প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদক জনাথন বিয়াল জানান, হুমকির মাত্রা বলতে বোঝায়, ব্রিটিশ জাহাজগুলোকে ইরানের জলসীমায় প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

ইরানি নৌকাগুলোর কবলে পড়ার সময় ব্রিটিশ হেরিটেজ আবু মুসা দ্বীপের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। আবু মুসা বিতর্কিত জলসীমায় হলেও এইচএমএস মনট্রোজ আন্তর্জাতিক জলসীমাতেই ছিল।

এর আগে নিজেদের একটি তেল ট্যাংকার ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ইরান। তবে, তারা জাহাজ দখলে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, এইচএমএস মনট্রোজ নামে ব্রিটিশ রণতরী যেটি কিনা বিপির মালিকানাধীন ট্যাঙ্কারকে নিরাপত্তা দিচ্ছিল সেটিকে ইরানের তিনটি নৌযান ও একটি জাহাজের মাঝখান দিয়ে চলতে বাধ্য করা হয়। ইরানের এই পদক্ষেপকে তিনি "আন্তর্জাতিক আইনের অবমাননা" বলে উল্লেখ করেছেন।

ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মরডন্ট বলেন, সরকার এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং উত্তেজনা কমিয়ে "পরিস্থিতি স্বাভাবিক" করতে ইরানের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, এই পরিস্থিতি "খুব সতর্কতা"র সাথে পর্যবেক্ষণ করবে।