সোমালিয়ার হোটেলে হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬

সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের কিসামায়ো বন্দরের একটি হোটেলে হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে কেনিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তানজানিয়ার নাগরিক রয়েছে। শনিবার জুব্বাল্যান্ডের আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট আহমেদ মোহাম্মদ জানান এছাড়া চীনের দুই নাগরিকসহ অপর ৫৬ জন এই হামলায় আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন আসন্ন আঞ্চলিক নির্বাচনের এক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। ব্রিটিশ বার্তা সংখ্যা রয়টার্স জানিয়েছে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা ও দুই সাংবাদিকও এই হামলায় নিহত হয়েছে। আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী আল শাবাব এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।noname

 দেশটির কর্মকর্তারা ও হামলায় বেঁচে যাওয়া কয়েকজন জানিয়েছেন, এক আত্মঘাতী হামলাকারী আসাসেই হোটেলে বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে। এরপরেই বন্দুকধারীরা হোটেলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।  রাতভর অভিযানের পর তাদের নিস্ক্রিয় করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পুলিশ কর্মকর্তা মেজর মোহাম্মদ আবদি।

হামলার সময়ে আসাসেই হোটেলে আঞ্চলিক রাজনৈতিক নেতারা এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর বয়স্ক নাগরিকেরা অবস্থান করছিলেন। আসন্ন আঞ্চলিক নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য জড়ো হয়েছিলেন তারা। আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট আহমেদ মোহাম্মদ জানিয়েছেন হামলায় নিহতদের মধ্যে তিন জন কেনিয়ার নাগরিক, যুক্তরাজ্যের একজন, যুক্তরাষ্ট্রের দুই জন এবং তিন জন তানজানিয়ার নাগরিক রয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন ‘নিহতদের মধ্যে জুব্বাল্যান্ডের আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সুরুয়িয়ে রয়েছেন। চার হামলাকারী হোটেলে হামলা চালায়। এদের একজন ছিলো আত্মঘাতী গাড়ি হামলাকারী। অপর দুই জন গুলিতে নিহত আরেক জনকে জীবিত অবস্থায় আটক করেছে জুব্বাল্যান্ডের নিরাপত্তা বাহিনী’।

আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট জঙ্গি সংগঠন আল শাবাব গত কয়েক বছরে আফ্রিকায় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বহু মানুষকে হত্যা করেছে। সোমালিয়ায় মূল শহরগুলোতে তাদের নিয়ন্ত্রণ না থাকলেও মাঝে মাঝেই গেরিলা হামলা চালাতে সমর্থ হচ্ছে তারা। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে উৎখাত করতে চায় তারা। ২০১২ সালে কিসামায়ো শহর থেকে বিতাড়িত হয় জঙ্গিগোষ্ঠীটি। এরপরে গত কয়েক বছর ধরে তুলনামূলক শান্তই ছিলো এই অঞ্চল।

জুব্বাল্যান্ডের বাণিজ্যিক রাজধানী কিসামায়ো। দক্ষিণ সোমালিয়ার এই অঞ্চলের একটি অংশে এখনও আল শাবাবের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।