মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে দেশটিতে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার কিম ডারখ-এর গোপন কূটনৈতিক নথি ফাঁসের ঘটনায় তদন্তকাজ শুরু করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। ওই নথি ফাঁসের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যেই পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন স্যার কিম ডারখ। কেননা, ওই গোপন নথি ফাঁস হওয়ার পর তাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ ঘটনায় টুইটারে দেওয়া পোস্টে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীরও সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, আমি মনে করি এই গোপন কূটনৈতিক নথি ফাঁস হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষতি হয়েছে। এক্ষেত্রে জনস্বার্থে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। যথাযথ তদন্ত নিশ্চিতকল্পে প্রতিটি ধাপে এটি পর্যালোচনা করা হবে।
আরও কূটনৈতিক নথি ফাঁসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সংস্থাটির সন্ত্রাসবিরোধী কমান্ডের প্রধান নেইল বসু জানান, এ ধরনের কাজের সঙ্গে দায়ী ব্যক্তিরা ফৌজদারি অপরাধ করেছে।
ফাঁসকৃত গোপন কূটনৈতিক নথিতে দেখা যায়, ট্রাম্প প্রশাসনকে 'অদ্ভুত এবং নিষ্ক্রিয়' হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত। ওই নথি ফাঁসের পর ট্রাম্প তাকে ‘একজন মূর্খ ব্যক্তি’ বলে মন্তব্য করেন। ২০১৭ সালের ওই ই-মেইলে বলা হয়, হোয়াইট হাউসে "অন্তর্ঘাত ও বিশৃঙ্খলার" গুজব বেশিরভাগই সত্য।
এরপর পররাষ্ট্র দফতরে দেওয়া এক চিঠিতে কিম বলেন, তার অবস্থান নিয়ে বিতর্ক শেষ করতে চেয়েছেন তিনি। বলেছেন, আমি যেভাবে দায়িত্ব পালন করতে পছন্দ করি বর্তমান অবস্থায় সেটি সম্ভব নয়।