যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেন রোহিঙ্গা অ্যাকটিভিস্ট

মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিষিদ্ধ করায় যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাগত জানিয়েছেন এক রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী। তবে একে প্রথম ধাপ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়িত এই জনগোষ্ঠীর সহায়তায় আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।  

f-rohingya-a-20190719-870x572

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালোর প্রায় দুই বছর পর মঙ্গলবার দেশটির সেনাবহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল রাখাইনে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয় ওয়াশিংটন। পররাষ্ট্র দফতর থেকে জানানো হয়, সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাংসহ আরও  তিনজন সেনা ও তাদের পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে অংশ নিয়ে এক্টিভিস্ট ওয়াই ওয়াই নু বলেন, দশক ধরে চলে আসা ‘অমরত্ব’ থেকে মিয়ানমারের সেনবাহিনীর ওপর এই পদক্ষেপ জরুরি ছিলো। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে আমরা একে প্রথম ধাপ বিবেচনা করছি এবং আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আশার করছি।’ সেনা কর্মকর্তাদের ‘ধরা ছোঁয়ার’ বাইরে থাকার এই পরিস্থিতির অবসান প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার তিনি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও দেখা করেন। ২০০৫ সাল থেকে পরিবারসহ মিয়ানমারে বন্দি ছিলেন ওয়াই ওয়াই। ২০১২ সালে মুক্তি পান তারা। মুক্তি পেয়ে নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে নারী অধিকার ও সাম্প্রদায়িক সম্পীতি রক্ষায় দুটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন।

জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় জীবন বাঁচাতে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১০ লাখে।