দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রিসভায় ব্যাপক পরিবর্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিনই মন্ত্রিসভায় ব্যাপক পরিবর্তন আনলেন বরিস জনসন। ব্রেক্সিটের সমর্থক এমপিদেরই মন্ত্রিসভায় প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র মন্ত্রিসভার অর্ধেকেরও বেশি সদস্য পদত্যাগ করেছেন কিংবা বরখাস্ত করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

059848e98ecbfab1dcf093cb094eca1d-5d3879f2d3bfa

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। দলের সদস্যরা চার দফা ভোটের পর তাকে নতুন নেতা নির্বাচিত করেন। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেই নিয়ম অনুযায়ী বুধবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেন বরিস জনসন।

দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্রেক্সিট নিয়ে কথা বলেন জনসন। তিনি জানান ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করা হবে। থেরেসা মে’র মন্ত্রিসভার ১৭ জন সদস্যকে বাদ দেন তিনি। 

বরিস জনসনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টও পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করার আগে তিনি বলেন, তাকে বিকল্প পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজি হননি। এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন প্রীতি পাটেল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডমিনিক রাব। সাজিদ জাভিদকে করা হয়েছে চ্যান্সেলর। 

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বেন ওয়ালেস। ব্রেক্সিট সমর্থক পেনি মরডান্টের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। আরেকজন ব্রেক্সিট সমর্থক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী লিয়াম ফক্সকেও পদচ্যুত করা হয়। তার জায়গায় আসেন বাণিজ্যমন্ত্রী গ্রেগ ক্লার্ক। তারা তিনজনই জেরেমি হান্টের সমর্থক ছিলেন।