সমালোচনার মুখে ভিন্ন মতালম্বীদের গলা কাটতে চাওয়া মিসরীয় মন্ত্রী

‘নাবিলা মাকরাম আমাকে প্রতিনিধিত্ব করে’ হ্যাশট্যাগে অভিবাসনমন্ত্রীর পাশে দাঁড়াচ্ছেন সরকার সমর্থক মিসরীয়রা। চলতি সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে বিদেশে অবস্থানরত ভিন্ন মতালম্বীদের গলা কাটার ইঙ্গিত দিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওই মন্ত্রী।মিসরের অভিবাসনমন্ত্রী নাবিলা মাকরাম

সম্প্রতি কানাডার রাজধানী টরেন্টোতে প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে মিসরের অভিবাসনমন্ত্রী নাবিলা মাকরাম বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের দেশ সম্পর্কে যারা কিছু বলে বেড়াবে তাদের কী হবে’? নিজের হাত গলার ওপর দিয়ে চালাতে চালাতে তিনি বলেন, ‘আমরা কেটে দেব’।

মিসরের সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার মধ্যে নাবিলার বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে আন্তর্জাতিক সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করতে দেখা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার গ্রুপ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মিসরের গবেষক আমর মাগদি টুইটারে লেখেন, ‘মিসরের সরকারের ভিন্ন মতালম্বীদের গুম, কারাবন্দি ও হত্যার বিপজ্জনক রেকর্ডের স্বাক্ষ্য এই মন্ত্রীর দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্য’। 

আরব অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ২০১৩ সালের ৩ জুলাই থেকে মিসরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে ৩ হাজার ১৮৫ বেসামরিক নাগরিক।

সমালোচনার পরও নিজের বক্তব্যের পক্ষে অবস্থান ধরে রেখেছেন নাবিল মাকরাম। তিনি বলেন, মিসর রাষ্ট্র তার সন্তানদের হুমকি দেয় না, বরং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, সমর্থন দেয় আর তাদের প্রয়োজন মেটায়। গলাকাটা নিয়ে যে শব্দটি তিনি বলেছেন তাকে মিসরের নিজস্ব ভাষার একটি শব্দ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারও ওপরে অতিরিক্ত ক্ষোভ প্রকাশের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।

অবশ্য সমর্থকদের তার চেয়েও এগিয়ে গিয়ে বক্তব্য রাখতে দেখা গেছে। টুইটারে এক সমর্থক লিখেছেন, তিনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শহীদের সন্তানদের রক্ষা করছেন।

এ আব্বাস নামে এক সমর্থক লিখেছেন, যারা মিসরের ক্ষতি করবে আমরা অবশ্যই তাদের মাথা কেটে দেব, সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে বিশ্বাসঘাতক আর দেশদ্রোহীদের ওপর আমরা সদয় হবো না। মিসরই প্রথম আর সবচেয়ে অগ্রাধিকারে থাকবে।