মালয়েশিয়ায় অভিবাসী গৃহকর্মীদের জন্য যুগান্তকারী রায়

কাজের অনুমতি না থাকায় মালয়েশিয়ায় অনেক গৃহকর্মী প্রাপ্য মজুরি পান না। অনেক ক্ষেত্রে প্রাপ্য টাকা দাবিও করতে পারেন না তারা। এক যুগান্তকারী রায়ে এবার সে দেশের আদালত বলছে, কাগজপত্র না থাকলেও প্রাপ্য মজুরি দাবি করা যাবে।

প্রতীকী ছবি
ইন্দোনেশিয়ার এক নারী পাঁচ বছর কাজ করেও কোনও পারিশ্রমিক পাননি। এক পর্যায়ে যে বাসায় কাজ করতেন সেখান থেকে পালিয়ে অভিবাসীদের অধিকার আদায়ের সংস্থা তেনাগানিতার আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান তিনি৷ কুয়ালালামপুরভিত্তিক ওই সংস্থার সহায়তায় পাওনা টাকা আদায়ের জন্য প্রথমে শ্রম দফতর এবং তারপর শ্রম আদালতে যান। তবে কাজের অনুমতি না থাকায় দুই জায়গাতেই তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন ওই নারী।

সোমবার মালয়েশিয়ার (২৯ জুলাই) উচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, কাগজপত্র না থাকলেও কাউকে প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না৷ অভিযোগ শুনতে হবে৷ সুতরাং ইন্দোনেশীয় ওই নারীর দাবি পূরণের জন্য এখন সক্রিয় হতে হবে কর্তৃপক্ষকে।

রায় ঘোষণার পর তেনাগানিতার নির্বাহী পরিচালক গ্লোরেন দাস থমাস রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেন, ‘এই রায় সব কাগজপত্রহীন কর্মীর জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে৷ এখন থেকে কাগজপত্র নেই এমন সব কর্মীই পাওনা আদায়ের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হতে পারবেন।’

মামলা করা ইন্দোনেশীয় নারীর নাম প্রকাশ করেনি তেনাগানিতা। নিয়োগকর্তার কাছে পাঁচ বছরের মজুরি হিসেবে ৩০ হাজার মালয়েশীয় রিঙ্গিত, অর্থাৎ সাত হাজার ৩০০ ডলার দাবি করেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে ওই নারী জানিয়েছেন, পাওনা টাকা পেলে তিনি ইন্দোনেশিয়ায় ফিরে যেতে চান।