প্রায় ৫০০ অবৈধ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে: দিল্লি পুলিশ

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গত ২৮ মাসে প্রায় ৫০০ অবৈধ বাংলাদেশিকে আটকের পর দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বুধবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টকে এ তথ্য জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই-এর বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।india supreme court
আদালতে দেওয়া এফিডেভিটে পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৪৮৯ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে ইতোমধ্যে ৪৮০ জনকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির এক নেতার করা জনস্বার্থ মামলার (পিআইএল) প্রেক্ষিতে আদালতে এ এফিডেভিট দেয় পুলিশ। আশ্বিনি উপাধ্যায় নামের ওই বিজেপি নেতা সব ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ ও রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে চান। আগামী ১৪ আগস্ট এ মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

মামলায় প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভারত থেকে বিতাড়িত করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর মোদি সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

মামলায় ভারতে বসবাসরত ‘বাংলাদেশি নাগরিক’ ও রোহিঙ্গাসহ সব অবৈধ অভিবাসী এবং অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত, আটক ও তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাছে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশেষ করে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক অবৈধ অভিবাসী ভারতে পাড়ি জমাচ্ছে। এটি শুধু সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর জনসংখ্যার কাঠামোকেই হুমকিতে ফেলেছে তা নয়; বরং বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের সুরক্ষা ও জাতীয় সংহতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

বিজেপি নেতা আশ্বিনি উপাধ্যায়ের দাবি, বেনাপোল-হরিদাসপুর ও হিলি (পশ্চিমবঙ্গ), সোনামোড়া (ত্রিপুরা), কলকাতা ও গুয়াহাটি হয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সংঘবদ্ধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র এ ব্যাপারে তাদের সহায়তা করছে। মামলায় বলা হয়, এ পরিস্থিতি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি।