এখন থেকে কোনও পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন প্রাপ্তবয়স্ক সৌদি নারীরা। শুক্রবার (২ আগস্ট) দেশটির রাজ দরবারের এক আদেশে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে,২১ বছরের বেশি বয়সী যে কোনও নারী এখন থেকে কোনও পুরুষ অভিভাবকের অনুমোদন ছাড়াই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, পুরুষের অভিভাবকত্ব সংক্রান্ত বিধানের কারণে সৌদি নারীরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের জীবনযাপনে বাধ্য হয়। এখনও বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হলে নারীদের পুরুষের অনুমতি নিতে হয়। বিয়ে, তালাক ও পাসপোর্ট নেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত কোনও নারী একা নিতে পারেন না। দেশটির এমন আইনের সমালোচনা চলে আসছে অনেক বছর ধরে।
সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ২০১৬ সালে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন, যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদি আরবের অর্থনীতি পরিবর্তনের প্রত্যাশা তুলে ধরা হয়। এ সময়ের মধ্যে সৌদি আরবের শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণের হার ২২% থেকে ৩০% এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে কানাডাসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে সৌদি আরবের অনেক প্রভাবশালী বা বিত্তশালী নারীদের আশ্রয় চাওয়ার অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যেও। তারা লিঙ্গবৈষম্যের কারণে অত্যাচারের শিকার হয়ে দেশত্যাগ করতে চেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
এ বছরের জানুয়ারিতে ১৮ বছর বয়সী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনুন'কে আশ্রয় প্রদান করে কানাডা। তিনি সৌদি আরব থেকে পালিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন।তবে এক পর্যায়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বিমানবন্দরের একটি হোটেল রুমে আটকা পড়ে যান তিনি এবং সেখান থেকেই আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন করেন।