হিন্দু তীর্থযাত্রীদের কাশ্মির ছাড়ার নির্দেশ ভারতের

হিন্দু তীর্থযাত্রীদের কাশ্মির ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারত। দেশটির সেনাবাহিনীর দাবি, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের কাশ্মির ত্যাগ করতে বলেছে রাজ্য সরকার। এমন সময়ে এ নির্দেশনা এলো যার মাত্র এক সপ্তাহ আগে রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য চাওয়া হয়েছিল। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।অমরনাথ যাত্রা
রাজ্য সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অমরনাথমুখী (হিন্দু তীর্থক্ষেত্র যেখানে বরফের শিবলিঙ্গের পূজা দেওয়া হয়) যাত্রীদের টার্গেট করে জঙ্গি হামলা হতে পারে এমন গোয়েন্দা রিপোর্ট পাওয়ার পর কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যটক ও অমরনাথমুখী যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, অতিসত্বর উপত্যকায় তাদের থাকার মেয়াদ কাটছাঁট করা এবং যত দ্রুত সম্ভব ফিরে যাওয়া উচিত।

শুক্রবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়, নিশ্চিত গোয়েন্দা রিপোর্ট রয়েছে যে, পাকিস্তানের সেনা সমর্থিত জঙ্গিরা অমরনাথ যাত্রায় বিঘ্ন ঘটাতে চাইছে। অমরনাথ যাত্রাপথে একটি ল্যান্ডমাইন ও একটি স্নাইপার রাইফেল পাওয়া গেছে।

এদিন যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে সেনাহিনী ও জম্মু-কাশ্মির পুলিশ। সেখানে বলা হয়, অমরনাথ যাত্রায় পাকিস্তানের সেনা সমর্থিত জঙ্গিদের তৎপরতার বিষয়ে নিশ্চিত গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।

কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজেএস ডিলন বলেন, ‘গত তিন চার দিনে, নিশ্চিত গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল যে, পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গিরা অমরনাথ যাত্রায় বিঘ্ন ঘটাতে চাইছে। তার ওপর ভিত্তি করেই ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। এই তল্লাশি অভিযানে আমরা বড় সাফল্য এসেছে। অভিযানে পাকিস্তানে তৈরি একটি ল্যান্ডমাইন ও টেলিস্কোপসহ একটি এম-২৪ আমেরিকান স্নাইপার রাইফেল পাওয়া গেছে। তারপরই অমরনাথের যাত্রাপথের নিরাপত্তা তিন দিনের জন্য আরও জোরালো করা হয়।অমরনাথ পাহাড়ে বরফের শিবলিঙ্গ

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিলন বলেন, মাইন ও অস্ত্রসহ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সংযোগের প্রমাণ উদ্ধার করা হয়েছে। আইইডি এবং তাজা বোমার হুমকি। অমরনাথের যাত্রাপথে তল্লাশি চালিয়ে বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিলন আরও বলেন, এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে। শান্তি বিঘ্নিত করতে মরিয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সেটা হতে দেওয়া যাবে না। কাউকে শান্তি বিঘ্নিত করতে দেওয়া যাবে না।

এক সপ্তাহ আগে রাজ্যের জন্য ১০ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়। তারা সেখানে পৌঁছানোর পথে রয়েছে। বেশি পরিমাণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা এবং তার সঙ্গে কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের বিষয়টি রয়েছে। সেই সময় ভারতে হামলা চালানোর জন্য সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলো। ফলে দেশটির সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগ সতর্ক রয়েছে।