ভেনেজুয়েলাকে দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চান ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলাকে বাইরের দুনিয়া থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নিজের এমন অবস্থানের কথা জানান তিনি। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
ট্রাম্প বলেন, ভেনেজুয়েলার মাদুরো সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চান তিনি। এজন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে দেশটিকে অবরুদ্ধ করে ফেলার বিষয়টি তার বিবেচনায় রয়েছে।

ঠিক কখন বা কিভাবে ভেনেজুয়েলাকে চারদিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলা হবে সে ব্যাপারে অবশ্য বিস্তারিত কিছু জানাননি ট্রাম্প।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ভেনেজুয়েলা বিষয়ক প্রতিনিধি এলিয়ট আব্রামস জানান, নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাপ বাড়ানোর নীতি অব্যাহত রাখবে হোয়াইট হাউস।

এদিকে ভেনেজুয়েলায় মার্কিন নৌবাহিনী অনুপ্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল ভেনেজুয়েলান সোশ্যালিস্ট পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট দিওসদাদো ক্যাবেলো। গত ২৭ জুলাই এক অনুষ্ঠানে নিজের এমন আশঙ্কার কথা জানান তিনি।

এমন সময়ে দিওসদাদো ক্যাবেলো এ আশঙ্কার কথা জানালেন যার মাত্র এক সপ্তাহ আগেই মার্কিন নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ধাওয়া করে ভেনেজুয়েলার একটি যুদ্ধবিমান। গত ১৯ জুলাই ভেনেজুয়েলার কাছে আন্তর্জাতিক আকশসীমায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক ও কার্গো ফ্লাইট স্থগিতের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যেই ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভেনেজুয়েলাকে দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করলেন ট্রাম্প।

ভেনেজুয়েলান সোশ্যালিস্ট পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট দিওসদাদো ক্যাবেলো বলেন, আমরা একটি  ছোট দেশ। আমরা খুবই বিনয়ী। মার্কিন নৌবাহিনী হয়তো এখানে প্রবেশ করতে পারে। সাও পাওলো ফোরামে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলের বাম রাজনীতিক ও অ্যাক্টিভিস্টদের অংশগ্রহণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সম্মেলনে দেওয়া নিজের বক্তব্যের সমর্থনে কোনও প্রমাণ তুলে ধরেননি তিনি।

উল্লেখ্য, নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে এ বছরের শুরুতে ভেনেজুয়েলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের সুযোগে ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে অবৈধ দাবি করে নিজেকে বৈধ অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে অভ্যুত্থানের ডাক দেন তিনি। এতে সমর্থন ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে কথিত ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা নস্যাতের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।