রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে ইউক্রেনে যুদ্ধ সমাপ্তির বিষয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে ক্রেমলিন বলছে, যুদ্ধের প্রধান কারণ সমাধান নিয়ে মস্কো কাজ করবে বলে আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন পুতিন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রায় এক ঘণ্টা আলাপ হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় কোনও অগ্রগতি হয়নি।
এই মন্তব্যের কিছু আগে, ডেনমার্কে সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, ইউক্রেনে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ স্থগিতের বিষয়ে তিনি শিগগিরই, সম্ভব হলে শুক্রবারই আলাপ করতে চান।
ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ফোনালাপের বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের সহকারী ইউরি উশাকোভ জানিয়েছেন, কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিতের বিষয়ে ওই বৈঠকে কোনও কথা হয়নি।
কূটনৈতিক উপায়ে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়েছে। এমন অবস্থায়, ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরাসহ বিভিন্ন মহল থেকে পুতিনের ওপর চাপ প্রয়োগের দাবি জানানো হচ্ছে।
ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কিয়েভের উত্তরের একটি আবাসিক ভবনে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় আগুন ধরে যায়, যা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কোনও ইতিবাচক পরিবর্তন আসেনি বলেই ইঙ্গিত দেয়।
পুতিন বারবার বলে আসছেন, সংঘাতের গোড়ার কারণ সমাধানের মাধ্যমেই কেবল যুদ্ধের অবসান সম্ভব। তাদের দাবি, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্প্রসারণে লাগাম টেনে ধরা, ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা সহায়তা বন্ধ করা এবং ন্যাটোজোটে কিয়েভের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা বাতিল করে দেওয়ার মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান হতে পারে।
এদিকে, ন্যাটো কর্মকর্তারা বলছেন, কিয়েভ ও অন্যান্য পূর্বাঞ্চলীয় ইউরোপীয় দেশের রাজনীতিতে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে মস্কো।
ক্রেমলিন কর্মকর্তা উশাকোভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যেতে রাশিয়ার আপত্তি নেই। তবে যে কোনও শান্তি আলোচনা সরাসরি মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে হতে হবে।
এই মন্তব্য থেকে ধারণা করা যায়, শান্তি আলোচনায় কোনও ত্রিপাক্ষিক কাঠামো এড়াতে চাচ্ছে রাশিয়া। এর আগে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, জুনের শুরুতে ইস্তানবুলে শান্তি আলোচনার সময়, মার্কিন কর্মকর্তাদের কামরা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন রুশ কর্মকর্তারা।