‘কাশ্মিরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিসর্জন দিচ্ছে বিজেপি’

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি-র বিরুদ্ধে কাশ্মিরে সব ধরনের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিসর্জন দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। সোমবার সকালে টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন।noname
টুইটারে দেওয়া পোস্টে পি চিদাম্বরম বলেন, জম্মু ও কাশ্মিরের বিপর্যয় সম্পর্কে আমি সতর্ক করেছিলাম। অঞ্চলটির নেতাদের গৃহবন্দি করে সরকার একটি বার্তা দিতে চায়। আর তা হচ্ছে লক্ষ্য অর্জনে সেখানে সব গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিসর্জন দেবে তারা। আমি এই গৃহবন্দিত্বের নিন্দা জানাই।

তিনি বলেন, দিন শেষ হওয়ার আগেই আমরা জানতে পারবো কাশ্মিরে বড় কোনও সংকট দেখা দেবে কি-না।

৪ আগস্ট রবিবার রাতে কাশ্মিরের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনীতিককে গৃহবন্দি করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতি, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ, পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজাদ লোন উল্লেখযোগ্য।

এর আগে রবিবার মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাহ-সহ কাশ্মিরের সব রাজনৈতিক দলের নেতারা এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে নেওয়া প্রস্তাবে ভারত কাশ্মির দখল করে নেওয়ার পর সংবিধানে অঞ্চলটিকে যে বাড়তি মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল তা বাতিলে মোদি সরকারের তৎপরতার নিন্দা জানানো হয়। শেষ পর্যন্ত এটি বাতিল করা হলে এর ‘পরিণাম’ ভোগ করতে হবেও বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন অঞ্চলটির নেতারা।

ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের সাংবিধানিক রক্ষাকবচ দেয় ৩৫এ এবং ৩৭০ ধারা। এ দুই ধারা সরিয়ে নেওয়ার শঙ্কার মধ্যেই রবিবার সর্বদলীয় ওই বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠকে যে প্রস্তাব পাশ করা হয় সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, ধারা ৩৫এ এবং ৩৭০ বা জম্মু-কাশ্মীরের স্বতন্ত্রতা বজায় রাখে অন্য যেসব সাংবিধানিক রক্ষাকবচ আছে, সেগুলো বজায় রাখতে সব দল একসঙ্গে কাজ করবে।

নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির কথা বলে গত সপ্তাহে কাশ্মিরে আধা সামরিক বাহিনীর অতিরিক্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি সদস্য মোতায়েন করে ভারত। নিরাপত্তা বাহিনীর এসব বাড়তি সদস্যদের রাজ্যের রাজধানী শ্রীনগর এবং কাশ্মির উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকাগুলোতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জায়গায় জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ চৌকি।