ভারতের হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করলো পাকিস্তান

জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করাসহ ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। একইসঙ্গে সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যও স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার (৭ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের করণীয় কী, তা ঠিক করতেই এ বৈঠক ডাকা হয়। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।77282299

সোমবার (৫ আগস্ট) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। এদিকে জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে ভারতের পার্লামেন্টে একটি বিলও পাস করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানকার শতাধিক স্থানীয় নেতাকে। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।

পাকিস্তান-ভারতের দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থার পর্যালোচনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এ বৈঠকে। কাশ্মির ইস্যু জাতিসংঘে উত্থাপন করা হবে। পাকিস্তানের এবারের স্বাধীনতা দিবসে (১৪ আগস্ট) কাশ্মিরের জনগণের প্রতি সংহতি জানানো হবে। আর ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সব ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা সক্রিয় করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে তাদের সতর্ক পাহারা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তানের শীর্ষ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এই বৈঠকে অংশ নেন। তারা নয়া দিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে দেশে ফেরত নিয়ে আসা এবং ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের নির্মম বর্ণবাদী শাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার লক্ষ্যে সব ধরনের কূটনৈতিক চ্যানেলকে সক্রিয় করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি বলেন, ‘আমাদের দূতরা আর নয়া দিল্লিতে থাকবেন না এবং ভারতের দূতদেরও দেশে ফেরত পাঠানো হবে'।