কাশ্মিরে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ পালিত: দাবি ভারতের

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরে শান্তিপূর্ণভাবে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির সরকার। শ্রীনগরে প্রার্থনার জন্য মসজিদে জামাতের ছবিসহ এবং শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছবি উপস্থাপন করে সরকার দাবি করে, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্ত ছিলো কাশ্মির। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। 

KASHMIR-EIDPRAYERS

গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ওই দিন সকাল থেকে জম্মু-কাশ্মিরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে। থমথমে পরিস্থিতির কারণে যেন ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে। দোকান, স্কুল, কলেজ ও অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। কোনও গণপরিবহন নেই। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা জনশূন্য রাস্তায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র সেনারা। নিরাপত্তা চৌকি, নজরদারি আর কারফিউর ঘেরাটোপে বন্দি হয়ে পড়েছে কাশ্মিরিদের ঈদের আনন্দ। প্রতি বছরই ঈদুল আজহার অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে উৎসবের ঢেউ লেগে যায় উপত্যকায়। দলবেঁধে মানুষ বাজারে যায়; পোশাকসহ বিভিন্ন সাজসরঞ্জাম কেনে। বেকারির দোকানগুলোতে সাজসাজ রব পড়ে যায়। তবে এবারের বাস্তবতা একেবারেই আলাদা।

তবে ভারতের দাবি,  শ্রীনগরে রাস্তাঘাট নিরাপত্তাকর্মীদের সজাগ দৃষ্টি থাকায় উৎসবের মেজাজ ছিল অন্যরকম। এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কাশ্মির উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থনার জন্য অসংখ্য মানুষের জমায়েত হয়েছিল, বারামুল্লায় ১০ হাজার এবং বান্দিপোরায় ৫ হাজার মানুষ প্রার্থনায় অংশ নেন।

সোমবার সন্ধ্যায় শহরের পুলিশ সুপার পানি বলেন, “দুটি স্থানীয় ঘটনা ঘটেছে” এবং সেগুলি “পেশাদারভাবেই সামাল দেওয়া হয়েছে”। দুটি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তবে পুরো উপত্যকার পরিস্থতি স্বাভাবিক”।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বড় বিক্ষোভের কথা জানালেও তা অস্বীকার করেছে রাজ্য প্রশাসন। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়,  “নিরাপত্তারক্ষীরা একটা গুলিও চালাননি”।

সরকারের দাবি, পাঁচ জেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরিই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে এবং শুধুমাত্র রাতের জন্য তা সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কাশ্মিরের অন্য ৯টি জেলায় স্থানীয় মূল্যায়নের ভিত্তিতে বিভিন্নরকম স্থানীয় বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে”।