সত্যপালের পাঠানো বিমানে কাশ্মিরে যাবেন না রাহুল

গভর্নর সত্যপাল মালিকের আমন্ত্রণে কাশ্মিরে যেতে রাজি হয়েছেন কংগ্রেসের সদ্য সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে সত্যপালের পাঠানো বিমানে সেখানে যাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। রাহুল সেখানে গিয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ ও জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ চেয়েছেন গভর্নরের কাছে।  

noname

শুক্রবার জুমার নামাজের পর কাশ্মিরের কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে টিয়ার গ্যাস ও ছররা গুলির তাণ্ডব চালানো হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিক্ষোভ ও সহিংসতার খবর এলেও তা অস্বীকার করছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার কংগ্রেসের সদ্য সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী সহিংসতার কথা তুললে সোমবার তার বক্তব্য নাকচ করে দেন কাশ্মিরের গভর্নর সত্য পাল মালিক। তিনি বলেন, ‘আমি রাহুল গান্ধীকে এখানে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমি আপনাকে একটি বিমান পাঠাতে পারি, যাতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কথা বলতে পারেন। আপনি একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি আপনার এভাবে কথা বলা উচিত নয়’।

মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় সত্যপালের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাহুল। তিনি লিখেছেন, ‘আপনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করছি। বিরোধীদের একটি প্রতিনিধি দল এবং আমি জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ যাব। আমাদের কোনও বিমান চাই না। কিন্তু দেখবেন আমাদের যেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়। যে কোনও জায়গা যেতে দেওয়া হয়। আমরা ওখানকার রাজনৈতিক নেতা, সাধারণ মানুষ ও জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলতে চাই।’

গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ওই দিন সকাল থেকে জম্মু-কাশ্মিরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে। দোকান, স্কুল, কলেজ ও অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। কোনও গণপরিবহন নেই। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবাও সীমিত। শুক্রবার জুমার নামাজ ও ঈদকে সামনে রেখে কারফিউ শিথিলের ঘোষণা দিয়েও রবিবার তা পুনর্বহাল করা হয়।