পর্যায়ক্রমে বাতিল হবে কাশ্মিরের নিষেধাজ্ঞা

স্বায়ত্তশাসন বাতিল কেন্দ্র করে কাশ্মিরে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাখ্যা দিয়েছে ভারত সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা অথবা প্রাণহানি দুটোর মধ্য থেকে নিষেধাজ্ঞাকে বেছে নিয়েছে সরকার। এবার এই নিষেধাজ্ঞা পর্যায়ক্রমে বাতিল করা হবে বলে দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।noname

গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে ওই ধারার অধীন ৩৫(এ) বাতিলের মধ্য দিয়ে রাজ্যটির ‘বিশেষ মর্যাদা’ কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর থেকেই জম্মু-কাশ্মির কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে। বন্ধ রয়েছে টেলিফোন-ইন্টারনেট পরিষেবা, গণপরিবহন চলছে না রাস্তায়। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল কলেজ, দোকানপাট। এমন অবস্থায় অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে ঈদের দিন কাটিয়েছে সেখানকার কাশ্মিরের বাসিন্দারা। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেছেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ধাপে ধাপে জম্মু ও কাশ্মিরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। মাঠ পর্যায়ে যেসব এলাকার পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে সেখানে রাজ্য প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে বলেও জানান তিনি।

কঠোর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি কাশ্মিরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ প্রায় চারশো রাজনৈতিক নেতাকে আটক করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। রাজপথে টহল দিচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা কোনও প্রাণহানি চাই না আর সেকারণেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অন্য সবকিছুর ওপরে মানুষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অগ্রাধিকার পাবে।

এমন নিষেধাজ্ঞা এর আগেও প্রত্যক্ষ করেছে কাশ্মিরের বাসিন্দারা। ২০১৬ সালে ভারতীয় বাহিনীর হাতে বুরহান ওয়ানির হত্যাকাণ্ডের পর কাশ্মির উপত্যকায় ব্যাপক বিক্ষোভের দিকে ইঙ্গিত করে এক কর্মকর্তা বলেন, ২০১৬ সালে আমরা বহু হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করার পর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করি তবে এবার পূর্ব সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। এইবার সম্ভাব্য সব পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা করে রাজ্য প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।