কাশ্মিরে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও পুলিশ

ভারত সরকারের তীব্র দমননীতির প্রতিবাদে শুক্রবার কাশ্মিরের রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে শত শত মানুষ। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরের প্রধান সড়কে তারা আন্দোলনকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও ছররা গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশের গুলির মুখে অনেকে বিভিন্ন দোকানপাটের সাইনবোর্ড বা বিলবোর্ডের নিচে আশ্রয় নেন। পুলিশি অ্যাকশনের বিপরীতে এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরাও নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্দেশে পাথর ছুড়ে মারে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি।noname
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট অধিকৃত কাশ্মিরের সায়ত্ত্বশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করার ঘোষণা দেয় ভারত। ওই দিন সকাল থেকে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে জম্মু-কাশ্মির। উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে এখনও কারফিউ বহাল রয়েছে। দোকান, স্কুল, কলেজ ও অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। কোনও গণপরিবহন নেই। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবাও সীমিত। সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিসহ কাশ্মিরের শত শত রাজনৈতিক নেতাকে বন্দি রাখা হয়েছে। জনশূন্য রাস্তায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র সেনারা। তবে এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতে বড় ধরনের বিনিয়োগ নিয়ে আসছে সৌদি আরব।

কাশ্মিরকে দুই টুকরো করার ঘোষণা দেওয়ার পর শুক্রবার টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো বন্ধ ছিল উপত্যকার বেশিরভাগ মসজিদ। এদিনের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন বিক্ষোভকারী এএফপি-কে বলেন, আমরা অবরোধ ভেঙে সিটি সেন্টারের উদ্দেশে পদযাত্রার চেষ্টা করছি। কিন্তু পুলিশ আমাদের থামাতে বল প্রয়োগ করছে।

এদিকে ভারতের তামিলনাড়ুর প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল এমডিএমকের প্রধান ভাইকো বলেছেন, দেশের স্বাধীনতার শততম বার্ষিকীতে কাশ্মির আর ভারতের অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। জম্মু-কাশ্মির নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই এমডিএমকে প্রধান এমন মন্তব্য করলেন। রাজ্যসভায় ভাইকো বলেন, আপনারা (মোদি সরকার) কাশ্মিরের মানুষের ভাবাবেগ নিয়ে খেলা করছেন। যখনই ওখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, তখনই আমার আশঙ্কা হয়েছিল। কাশ্মিরকে কসোভো, ইস্ট তিমুর বা সাউথ সুদান হতে দেওয়া যাবে না। সূত্র: এএফপি, ডন।