সুদানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি

সুদানের ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির এক ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তিতে উপনীত হয়েছে দেশটির গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো। ১৭ আগস্ট শনিবার রাজধানী খার্তুমে সামরিক কাউন্সিল এবং গণতন্ত্রপন্থীদের জোট ফোর্সেস ফর ফ্রিডম অ্যান্ড চেঞ্চ (এফএফসি)-এর মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় ইথিওপিয়া ও মিসরের প্রধানমন্ত্রী এবং সাউথ সুদানের প্রেসিডেন্টসহ আঞ্চলিক নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।15
সমঝোতা অনুযায়ী, পরবর্তী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সরকার পরিচালনায় একটি যৌথ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একমত হয়েছে জান্তা সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক জোট। সে অনুযায়ী, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করবে ছয়জন বেসামরিক প্রতিনিধি এবং পাঁচজন জেনারেলের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ কাউন্সিল। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা যৌথ কাউন্সিলের মেয়াদ হবে তিন বছর তিন মাস। তারা মূলত নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন একটি বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করবে।

২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন ১৯৮৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। জ্বালানি ও রুটির দাম বৃদ্ধির এক সরকারি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভের সুযোগ নিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। শুধু গত ৩ জুন একদিনেই বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর রক্তক্ষয়ী অভিযানে নিহত হন ৮৭ জন। আহত হন আরও ১৬৮ জন। ওমর আল বশির-কে উৎখাতে সেনাবাহিনীকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের মতো দেশগুলো। গত জুনে সুদানের জান্তা সরকারের ধরপাকড় বন্ধে প্রভাব কাজে লাগাতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। একদিকে দেশজুড়ে তীব্র গণআন্দোলন অন্যদিকে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় উপনীত হয় জান্তা সরকার। সূত্র: দ্য নিউ আরব, দ্য গার্ডিয়ান, আফ্রিকা নিউজ।