সিরিয়ায় তুরস্কের একটি সামরিক বহরে বিমান হামলায় তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১২ জন। সোমবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনী এ হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে আঙ্কারা।
২০১৭ সালের এক চুক্তির আওতায় তুরস্কপন্থী বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলটিতে তুর্কি সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখার ব্যাপারে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে সমঝোতা হয় আঙ্কারার। চুক্তি অনুযায়ী সেখানে একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ইদলিবের ভেতরে ও উপকণ্ঠে ১২টি পর্যবেক্ষণ-ফাঁড়ি স্থাপন করে আঙ্কারা। সোমবারের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আঙ্কারা বলেছে, আসাদ বাহিনীর এ হামলা রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের চুক্তির লঙ্ঘন। এমনকি বহরটির যাত্রার আগেও রাশিয়াকে অবহিত করা হয়েছিল।
তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এটি রাশিয়ার সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তির লঙ্ঘন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আসাদ বাহিনীর বিমান হামলার মুখে তুর্কি সামরিক বহরটি একটি মহাসড়কে আটকা পড়ে।
তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, রুশ কর্তৃপক্ষকে বারবার সতর্ক করার পরও চুক্তি লঙ্ঘন করে ইদলিবে আসাদ বাহিনীর সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এতে নিরপরাধ বেসামরিক লোকজন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
উল্লেখ্য, তুরস্কে ৩৬ লাখ নিবন্ধিত সিরীয় শরণার্থী রয়েছে। আঙ্কারার আশঙ্কা, সিরিয়ার অভ্যন্তরে আসাদ বাহিনীর আরও সামরিক পদক্ষেপ শরণার্থীদের এ ঢল আরও বাড়িয়ে দেবে।
গত এপ্রিলে আসাদ বাহিনী ইদলিবে হামলা জোরদার করার পর থেকে নিহত হয়েছে শত শত বেসামরিক নাগরিক। ঘরবাড়ি হারিয়েছেন আরও কয়েক লাখ মানুষ। জীবন বাঁচাতে পলায়নপর অনেক বেসামরিক নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন তুর্কি সীমান্তে। সূত্র: বিবিসি, টিআরটি ওয়ার্ল্ড।