মালয়েশিয়াজুড়ে জাকির নায়েকের বক্তৃতায় নিষেধাজ্ঞা

মালয়েশিয়াজুড়ে জাকির নায়েকের বক্তৃতায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সে দেশের পুলিশ জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত সাতটি রাজ্যে জাকির নায়েকের বক্তব্য নিষিদ্ধের কথা জানা গিয়েছিলো।  

223241

ভারতের আদালতে অর্থপাচার ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে জিহাদি কার্যক্রম উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে জাকিরের বিরুদ্ধে। দিল্লির পক্ষ থেকে তাকে ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিক আবেদন করা হলে ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এ ব্যাপারে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তবে সম্প্রতি জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশি তদন্ত চলছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে তার মালয়েশিয়ায় বসবাসের অনুমতি বাতিল করা হতে পারে।

মালয়েশীয় সংবাদমাধ্যম মালায় মেইলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে দেশটির পুলিশের কর্পোরেট প্রধান দাতুক আসমাওয়াতি জাকিরের বক্তব্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘সবগুলো থানায় এমন নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর এটি করা হয়েছে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে।’

এরআগে রবিবার মালয়েশীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা বলা হয়, এখন পর্যন্ত দেশটির সাতটি রাজ্যে নিষিদ্ধ হয়েছেন জাকির নায়েক। এগুলো হলো মেলাকা, জোহর, সেলানগর, পেনাং, কেদাহ, পেরলিন এবং সারাওয়াক।

গত ৩ আগস্ট কোতা বারুতে এক আলোচনায় জাকির নায়েক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্য করেছিলেন। এই মন্তব্যের জেরে তাকে মালয়েশিয়া থেকে বের করে দেওয়ার প্রসঙ্গ সামনে আসার পর তিনি আবারও জাতিগত সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু বানান। গত ৮ আগস্ট কেলানতান প্রদেশে এক আলোচনায় তিনি বলেন, প্রথমে জাতিগত সংখ্যালঘুদের চলে যেতে হবে কারণ তারা মালয়েশিয়ার অতিথি। তবে জাকির দাবি করেছেন, তার বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তার দাবি, রাজনৈতিক ফায়দা নিতে মালয়েশিয়ার সরকারের প্রতি তার প্রসংশাসূচক বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।