স্বর্ণ আমদানিতে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে চীন

স্বর্ণ আমদানির ওপর বিধিনিষেধ আংশিক প্রত্যাহার করেছে চীন। সে দেশের স্বর্ণ শিল্প সূত্রকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মে মাস থেকে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। সে সময় দেশটিতে ১৫ থেকে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের ৩০০ থেকে ৫০০ টন ওজনের স্বর্ণ আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। দেশের মূলধন বহিঃপ্রবাহ হ্রাস ও ইউয়ানকে (চীনা মুদ্রা) উৎসাহিত করার জন্য এখন তা শিথিল করা হয়েছে।

noname

রয়টার্সের গত সপ্তাহের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গত কয়েক মাসে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশটির স্বর্ণ আমদানিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের অধিকাংশ কোটা বর্জন অথবা সংকুচিত করে। সূত্র বলছে, মূলধন বহিঃপ্রবাহ হ্রাস করতে ও ইউয়ানকে উৎসাহিত করতেই সম্ভবত এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে ১১ বছরের মধ্যে ডলারের বিপরীতে অতি নিচে নামছে ইউয়ানের মান।

গত সপ্তাহে পুনরায় চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বর্ণ আমদানিতে কোটা ইস্যু করতে শুরু করেছে। যুক্তরাজ্য ও এশিয়ার সংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তি বলেন, সঠিক পরিমাণ নির্দিষ্ট করা ছাড়াই স্বল্প পরিমাণ স্বর্ণ আমদানির ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কোটা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। সূত্রদের একজন বলছেন, ‘কিছু (কোটা) দেওয়া হয়েছে। তবে এগুলো স্বাভাবিকের তুলনায় কম।’ অন্য সূ্ত্র বলছে, বিধিনিষেধের আংশিক তুলে নেওয়া হয়েছে।

চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি।

কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, স্বর্ণ আমদানিতে শীর্ষ দেশ চীন। গত বছর ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের ১৫শ’ টন এ ধাতু আমদানি করেছে বেইজিং, যা বিশ্বের মোট সরবরাহের এক-তৃতীয়াংশ। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত দুই দশকে চীন দ্রুত ধনী দেশ হওয়ায় দেশটিতে স্বর্ণের অলঙ্কার, বার ও কয়েনের চাহিদা বেড়েছে তিনগুণ। সরকারি স্বর্ণের মজুদ পাঁচগুণ বেড়ে প্রায় ২ হাজার টনে পৌঁছেছে।

সূত্র বলছে, চীনের মুদ্রার মান যখন দুর্বল হয়েছিলো তখন দেশটি মূলধন বহিঃপ্রবাহ হ্রাস করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলো সরকার। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ২০১৬ সালে স্বর্ণ আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে বেইজিং। চীনের কাস্টমস বিভাগের তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের মে ও জুন মাসের তুলনায় চলতি বছরের এই দুই মাসে স্বর্ণ আমদানি ২২৮ টন কমিয়েছে দেশটি।