রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত ভারতের সাবেক মন্ত্রী অরুণ জেটলি

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও গান স্যালুটে সম্মান জানিয়ে ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বিকালে নিগমবোধ ঘাটে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এখবর জানিয়েছে।nigambodh-ghat

রবিবার সকালে বিজেপির সাবেক এই নেতার মরদেহ দলের সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। পরে নিগমবোধ ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় জেটলির মরদেহ। নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রথম মেয়াদের বেশিরভাগমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন তার শেষকৃত্যে। এছাড়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিসোদিয়া, কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধ্রিয়ার পাশাপাশি একসময়ে আদালতে জেটলির প্রতিদ্বন্দ্বী কপিল সিব্বল উপস্থিত ছিলেন। তবে বিদেশে থাকায় শেষকৃত্যে থাকতে পারেননি প্রধানমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

৯ অগাস্ট দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এআইআইএমএস) হাসপাতালে ভর্তি হন অরুণ জেটলি। শনিবার ১২টা ৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। 

বিগত দুই বছরের বেশিরভাগ সময় অসুস্থ ছিলেন অরুণ জেটলি। ২০১৮ সালে তার কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। তার চার বছর আগে ২০১৪ সালে ডায়াবেটিসের কারণে ওজন কমাতে ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি করান তিনি। অসুস্থতার কারণে ২০১৯ সালের অন্তর্বর্তী বাজেটও পেশ করতে পারেননি তিনি। তার হয়ে ওই বাজেট পেশ করেন তার সহকর্মী পিযুশ গয়াল।

নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রথম মেয়াদে তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে দেখা হতো অরুণ জেটলিকে। অর্থ মন্ত্রণালয় সামলানোর পাশাপাশি অস্থায়ীভাবে অন্য মন্ত্রণালয়ের দেখভালও করেছেন তিনি।

ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা জারির সময়ে অন্য অনেকের সঙ্গে কারারুদ্ধ হয়েছিলেন অরুণ জেটলি। ওই সময়ে তিনি ছিলেন ছাত্রনেতা। পেশায় আইনজীবী অরুণ জেটলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে জন সংঘের সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় হন।

নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও অটল বিহারি বাজপেয়ির মন্ত্রিসভাতেও কাজ করেছেন অরুণ জেটলি। ২০০৯-২০১৪ পর্যন্ত বিজেপি বিরোধী দলে থাকাকালে রাজ্য সভার বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন তিনি।