‘এনআরসির মধ্য দিয়ে বিজেপি মুসলিমদের তাড়াতে চেয়েছিল’

নাগরিক তালিকা বা এনআরসির মধ্য দিয়ে আসাম থেকে মুসলিমদের তাড়াতে চেয়েছিল ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। সোমবার সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন অভিযোগ করেছেন আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা তরুণ গগৈ।noname
এনআরসি নিয়ে বিজেপি’র ভূমিকা সম্পর্কে তরুণ গগৈ বলেন, ‘ওরা একবার বলছে এনআরসি’র কথা, একবার বলছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা। ওরাই চায়নি যে একটা ঠিকঠাক এনআরসি প্রকাশিত হোক। কারণ, ওরা মুসলিমদের তাড়াতে চেয়ে এটা করেছিল। কিন্তু মুসলিমদের নাম থাকল আর হিন্দুদের নামই বাদ চলে গেল। এবার ওদেরই খুঁজে বের করতে হবে, এর জন্য কারা দায়ী।’

আসামে ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তরুণ গগৈ বলেন, ‘আমরা মুসলিম তোষণ করে তাদের ভোটে ক্ষমতায় থেকেছি, এই অভিযোগ তো আমার বিরুদ্ধেই উঠেছে। কিন্তু মোদি এখানে এসে কী বলেছেন? বলেছেন, এখানে লাখ লাখ মুসলিম আছে, যারা এখানে এসে আসামীয়াদের ভাত কেড়েছে, জমি কেড়েছে, চাকরি কেড়েছে। আমরা ক্ষমতায় আসলে এদের ফেরত পাঠিয়ে দেবো। এখন কী প্রমাণিত হল? এটাই প্রমাণিত হলো যে, এদের মুখে হিন্দুত্বের বুলি শুধুই ক্ষমতার জন্য, হিন্দুদের ভালোর জন্য নয়। তাহলে ওরা হিন্দুদের চাকরি নিশ্চিত করত। তা পারেনি।’

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে যারা এসেছিল, আমরা তাদের নাগরিকত্ব দিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের পরে তো বেশিরভাগ হিন্দু বাঙালিই চলে এসেছে। তাদের সবাই নাগরিকত্ব পেয়েছে। ওরা কিন্তু আমাদের ভোট দেয়নি। তখনও ওদের জন্য লড়েছি। আর আজও ওরা ভোট দেয় না। তবু লড়ব।

এনআরসি বিজেপির জন্য বুমেরাং হয়েছে মন্তব্য করে তরুণ গগৈ বলেন, যে হিন্দু বাঙালিরা ভোট দিয়ে ওদের এনেছিল (বিজেপিকে), তাদের বেশিরভাগের নাম নেই। হিন্দিভাষী, গোর্খা, মুসলিম অনেকেরই নাম নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এই নাম বাদ যাওয়ার তালিকায় সংখ্যাগুরু অংশই হিন্দু বাঙালি। প্রকৃত নাগরিক খুঁজতে হিন্দুবিরোধ, মুসলিম বিদ্বেষ বা খ্রিস্টান বিরোধিতা করলে চলবে না। সূত্র: পার্স টুডে।