জার্মান চ্যান্সেলরকে হংকং-এর আন্দোলনে সমর্থন জানানোর আহ্বান

তিন দিনের সফরে এই সপ্তাহে চীন আসছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল। এই সফরে পূর্ব জার্মানির স্বৈরাচারী শাসনের অধীনের জীবনের কথা স্মরণ করে তাকে হংকং-এর বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। জার্মানির সংবাদপত্র বিল্ড নিউজপেপারে প্রকাশিত এক খোলা চিঠিতে এ আহবান জানিয়েছেন হংকং-এর অ্যাকটিভিস্টরা।hong-kong-1165624976

কয়েক মাস ধরে হংকং-এ চলা রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও সহিংস আন্দোলনের মধ্যে এই চিঠি প্রকাশিত হয়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল বেইজিং সফরে আসছেন। তাকে চীনা সরকারের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে পূর্ব জার্মানির স্বৈরাচারী শাসনের অধীনের জীবনের কথা স্মরণ করতে, ওই খোলা চিঠিতে অনুরোধ করেছেন হংকং-এর অ্যাক্টিভিস্টরা। এই খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন হংকং-এর গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের প্রধান অ্যাকটিভিস্ট জোসুয়া ওয়াং; জিওপি ওয়াং ও অ্যালিস ইউ নামের দুই শিল্পী। হংকংয়ের এই দুই শিল্পী থাকেন জার্মানিতে, যেখানে এই আন্দোলন খুবই জনপ্রিয়।

খোলা চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘চ্যান্সেলর ম্যার্কেল, আপনি পূর্ব জার্মানিতে বড় হয়েছেন। আপনি স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার ভয়াবহতা প্রথম দিকেই অনুভব করেছেন। স্বৈরতন্ত্র ও অন্যায্য রাজত্বের বিরুদ্ধে আপনার সাহস ও দৃঢ় অবস্থানকে আমরা শ্রদ্ধা করি। যা স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পূর্বে ইউরোপ ও জার্মানিকে উৎসাহিত করেছিলো।’ স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের পর ১৯৯০ সালে দুই জার্মানি একত্রিত হওয়ার আগে নিজের ৪০ বছরের জীবনের বেশিরভাগ সময় কমিউনিস্ট শাসিত পূর্ব জার্মানিতে কাটিয়েছেন অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল। সেখানে গবেষনা বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করতেন তিনি।

এক সময়কার ব্রিটিশ কলোনি হংকং এখন চীনের অংশ। ‘এক দেশ, দুই নীতি’র অধীনে কিছু মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে হংকং। অঞ্চলটির নিজস্ব বিচার ও আইন ব্যবস্থা রয়েছে, যা মূল চীনের চেয়ে ভিন্ন। গত ৯ জুন থেকে সেখানে কথিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, ওই বিল অনুমোদন করা হলে ভিন্নমতাবলম্বীদের চীনের কাছে প্রত্যর্পণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। লাখো মানুষের উত্তাল গণবিক্ষোভের মুখে এক পর্যায়ে ওই বিলকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা দেন হংকংয়ের চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম। তবে এতে আশ্বস্ত হতে না পেরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে সেখানকার নাগরিকরা। আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে বৃহত্তর গণতন্ত্র, চীনের নিযুক্ত নির্বাহী প্রধানের পদত্যাগ ও আন্দোলনের সময় আটককৃতদের মুক্তি দাবি।