প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারে সমর্থন দিয়েছে চীন: হংকং-এর প্রধান নির্বাহী

হংকং-এর চরম বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহার করে নেওয়ায় চীন সমর্থন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অঞ্চলটির প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই বিল প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর প্রথমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে এই সিদ্ধান্ত কে নিয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়। জবাবে ক্যারি লাম বলেন, পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে... প্রাথমিকভাবে বিল এগিয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে গতকাল প্রত্যাহার করে নেওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার আমার মতামতকে শ্রদ্ধা দেখিয়েছে আর সবসময়ই সমর্থন দিয়েছে।হংকং-এর চীনপন্থী প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম

এক সময়কার ব্রিটিশ কলোনি হংকং এখন চীনের অংশ। ‘এক দেশ, দুই নীতি’র অধীনে কিছু মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে হংকং। অঞ্চলটির নিজস্ব বিচার ও আইন ব্যবস্থা রয়েছে, যা মূল চীনের চেয়ে ভিন্ন।  গত এপ্রিলে কথিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল প্রণয়ের উদ্যোগ নেওয়া হলে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। গত ৯ জুন থেকে ধারাবাহিকভাবে সেখানে বিক্ষোভ চলছে। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, ওই বিল অনুমোদন করা হলে ভিন্নমতাবলম্বীদের চীনের কাছে প্রত্যর্পণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। লাখো মানুষের উত্তাল গণবিক্ষোভের মুখে এক পর্যায়ে ওই বিলকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা দেন হংকংয়ের চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম। তবে এতে আশ্বস্ত হতে না পেরে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। বিল প্রত্যাহারের পাশাপাশি এখন আন্দোলনকারীদের দাবিতে যুক্ত হয়েছে হংকং-এর স্বাধীনতা,বৃহত্তর গণতন্ত্র ও চীনের নিযুক্ত নির্বাহী প্রধানের পদত্যাগের দাবি।

বুধবার বিলটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হলেও তাতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না বিক্ষোভকারীরা। সব দাবি মেনে না নেওয়ার আগ পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

হংকং-এর প্রধান নির্বাহী ক্যারি লামের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আনুষ্ঠানিকভাবে বিলটি সত্যিই প্রত্যাহার করা হবে কিনা তানিয়ে উদ্বেগ আছে অনেকের। এনিয়ে ক্যারি লাম বলেন, পার্লামেন্ট পুনরায় শুরু হলে এই বিল নিয়ে আর কোনও বিতর্ক (বা) ভোটাভুটি হবে না।