হংকং সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের তাগিদ ম্যার্কেলের

হংকং সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। শনিবার চীন সফরকালে নতুন করে এ তাগিদ দেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।noname
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের বাজারে জার্মান পণ্যের আরও অবাধ প্রবেশাধিকার চান আঙ্গেলা ম্যার্কেল। তবে তার তিন দিনের এ সফরে ছায়া ফেলেছে হংকং-এর তীব্র চীনবিরোধী বিক্ষোভ।

আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, আমি সহিংসতা ছাড়াই সংঘাত নিরসনের পক্ষপাতী। এর বাইরে অন্য যে কোনও কিছুই আমার কাছে বিপর্যয় হিসেবে পরিগণিত হবে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি খোয়াচিয়াম-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, বেইজিং আমার মতামত শুনেছে। এটি গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে চীন সফরে হংকং পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলায় জার্মান নেতার প্রশংসা করেছেন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট জোশুয়া উং। তবে তিনি মনে করেন এ বিষয়ে আরও ম্যার্কেলের আরও বলার সুযোগ ছিল।

একটি জার্মান সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জোশুয়া উং বলেন, আমরা যে বিশ্বজনীন মূল্যবোধে বিশ্বাস করি জার্মানির বাণিজ্যিক স্বার্থ তাকে অগ্রাহ্য করতে পারে না। জার্মান চ্যান্সেলর যদি কিছু করতে চান তবে তাকে অবশ্যই চীনা প্রেসিডেন্টকে হংকংয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সাড়া দেওয়ার আহ্বান জানাতে হবে।

এক সময়কার ব্রিটিশ কলোনি হংকং এখন চীনের অংশ। ‘এক দেশ, দুই নীতি’র অধীনে কিছু মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে হংকং। অঞ্চলটির নিজস্ব বিচার ও আইন ব্যবস্থা রয়েছে, যা মূল চীনের চেয়ে ভিন্ন। গত ৯ জুন থেকে সেখানে কথিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, ওই বিল অনুমোদন করা হলে ভিন্নমতাবলম্বীদের চীনের কাছে প্রত্যর্পণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। লাখো মানুষের উত্তাল গণবিক্ষোভের মুখে এক পর্যায়ে ওই বিলকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা দেন হংকংয়ের চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম। তবে এতে আশ্বস্ত হতে না পেরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে সেখানকার নাগরিকরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হংকংয়ের স্বাধীনতা, বৃহত্তর গণতন্ত্র ও চীনের নিযুক্ত নির্বাহী প্রধানের পদত্যাগের দাবি।