আবারও হারলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, পার্লামেন্ট স্থগিত

পার্লামেন্টে আবারও হারলেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আগাম নির্বাচন চেয়ে তার আনা দ্বিতীয় প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছেন আইনপ্রণেতারা। এরই মধ্যে দলের বিদ্রোহী ও বিরোধী লেবার পার্টির এমপিদের আনা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট আটকে দেওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ফলে ওই বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। এমন অবস্থায় ৫ সপ্তাহের জন্য বৃটেনের পার্লামেন্ট স্থগিত হয়ে গেছে।


যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
বিবিসি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জনসনের আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবের ওপর সোমবার দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা বিতর্কের পর ১৫ মিনিটের ভোটে প্রস্তাবটি নাকচ হয়ে যায়। অক্টোবরের ১৫ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে সোমবার ভোট পড়ে ২৯৩, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য কাঙ্ক্ষিত দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের চেয়ে অনেক কম। প্রস্তাবের বিপক্ষে পড়েছে ৪৬ ভোট। আর বাকিরা ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন। এর মধ্য দিয়ে বিরোধী দলীয় এমপিরা নিশ্চিত করে দিলেন তারা এই নির্বাচন চান না।

চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট আটকে দেয়ার বিরুদ্ধে যে আইনে রানি অনুমোদন দিয়েছেন, বিরোধীরা চাইছেন সেই আইন অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। যদি প্রধানমন্ত্রী এর বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

 ব্রাসেলসের সঙ্গে কোনও চুক্তি হোক বা না হোক, আগামী ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে অবশ্যই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল যুক্তরাজ্যের দিক থেকে। তবে সোমবার নতুন প্রস্তাব রানির অনুমোদন পাওয়ার পর সেই আইনে পরিবর্তন এসেছে। যদি কোনও চুক্তি করা সম্ভব না হয় অথবা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের দিকে অগ্রসর হয় সরকার, তাহলে ২০২০ সালের ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রেক্সিট বিলম্বিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বাধ্য করতে পারেন এমপিরা।

বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কুয়েন্সবার্গ বলছেন, যদিও ১০ ডাউনিং স্ট্রিট বলছে তারা নতুন আইন লঙ্ঘন করবে না, তবু এই আইনের ফাঁকফোকর অথবা এর বিভিন্ন দিক যাচাই করে দেখা হচ্ছে।