ইরানের ‘গোপন পারমাণবিক ঘাঁটি’র স্যাটেলাইট ইমেজ হাজির করলেন নেতানিয়াহু

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির এক অজানা ঘাঁটি রয়েছে দাবি করে কথিত সেই ঘাঁটির স্যাটেলাইট ইমেজ হাজির করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার দাবি, শূন্য দশকের গোড়ার দিক থেকে এই গোপন ঘাঁটিটি সচল রয়েছে। অতীতেও নেতানিয়াহু একই রকম মন্তব্য করেছেন। তবে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে আবার সেই কথিত গোপন ঘাঁটির প্রসঙ্গ সামনে আনাকে প্রচারণার চাল বলে মনে করছেন তার রাজনৈতিক বিরোধীরা।190830191454-netanyahu-exlarge-169

১৭ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের সাধারণ নির্বাচন। এর ৮ দিন আগে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) জেরুজালেমে কথা বলতে গিয়ে নেতানিয়াহু একটি স্যাটেলাইট চিত্র দেখিয়েছেন। বলেছেন, ইসপাহান শহরের দক্ষিণের শহর আবাদেহের কাছে একটি ঘাঁটি রয়েছে। যেখানে পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়নে পরীক্ষা চালায় ইরান। নেতানিয়াহু তার টেলিভিশন বক্তৃতায় কোনও নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি। তবে তার এক মুখপাত্র মার্কিন বার্তা সংস্থা সিএনএ ‘কে বলেন, সম্ভবত ২০০৩ সালের গোড়া দিক থেকে ওই ঘাঁটিটি অপারেশনে রয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, আবাদেহ ঘাঁটির বিষয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে তথ্য পায় দেশটির কর্মকর্তারা। সেখানে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সংরক্ষণাগার রয়েছে। তার দাবি, তেল আবিব ঘাঁটিটির কথা জানতে পেরেছে; এমনটা বোঝার পর তেহরান এর প্রমাণ ধ্বংস করেছিল অথবা প্রমাণ ধ্বংসের চেষ্টা করেছিল।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী স্যাটেলাইটের দুটি চিত্র দেখিয়েছেন। একটি ঘাঁটি ধ্বংসের আগের চিত্র, অন্যটি পরের। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের জুনের শেষের দিক অথবা জুলাইয়ের শুরুর দিকে ছবিগুলো তোলা হয়েছে। নেতানিয়াহু দাবি করেন, এ বিষয়ের আরও প্রমাণ রয়েছে। ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে মিথ্যা বলছে। সে সময় তিনি ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিশ্বনেতাদের অনুসরণের আহ্বান জানান।

সাধারণ নির্বাচনের খুব কাছাকাছি সময়ে এমন তথ্য প্রকাশ করায় এটাকে নির্বাচনি প্রচারণা হিসেবে দেখছে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক বিরোধীরা। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গ্যাটজ টুইটার বার্তায় লিখেছেন, ‘প্রচারণার জন্য স্পর্শকাতর তথ্যের ব্যবহার নেতানিয়াহুর নিম্নরুচির প্রতিফলন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষ কয়েকটা দিনেও তিনি কেবল স্বার্থের কথাই ভাবছেন।’