নেতানিয়াহুর দখল পরিকল্পনার নিন্দায় সরব আরব বিশ্ব

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জর্ডান উপত্যকা দখলের পরিকল্পনা ঘোষণার পর এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আরব বিশ্ব। ওই ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছে আরব লীগ। এক যৌথ বিবৃতিতে তুরস্ক, জর্ডান এবং সৌদি আরবও এর কঠোর সমালোচনা করেছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।Arab_League

নেতানিয়াহুর পরিকল্পনাকে ‘আগ্রাসন’ ও ‘বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে আরব লিগ। সংস্থাটি বলছে, নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এ ধরনের পদক্ষেপ শান্তি প্রতিষ্ঠার ভিত্তি নষ্ট করবে।

ফিলিস্তিনের কূটনীতিক সায়েব ইরেকাত বলেন, ‘এমন পদক্ষেপ যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এটি এ অঞ্চলে শান্তি স্থাপনের কবর রচনা করবে।’ দেশটির কর্মকর্তা হানান আনসারি এএফপিকে বলেন, ‘নেতানিয়াহু কেবল দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই নষ্ট করছেন না, তিনি শান্তি প্রক্রিয়ার সব সুযোগই নষ্ট করছেন।’

নেতানিয়াহুর পরিকল্পনাকে ‘বর্ণবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে নেতানিয়াহু আগ্রাসী বার্তা দিচ্ছেন।

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি ওই পরিকল্পনাকে ‘ভয়ঙ্কর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এর ফলে সমগ্র অঞ্চলে সহিংসতা তরান্বিত হবে।

উল্লেখ্য, ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এক টেলিভিশন ভাষণে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জর্ডান উপত্যকা দখলের ঘোষণা দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হলে তার সরকার এ পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করবে। এছাড়া পশ্চিম তীরের সব এলাকায় ইহুদি বসতি স্থাপন নিশ্চিত করা হবে। তবে এর আগে এ বিষয়ে ইসরায়েলের নির্ভরযোগ্য মিত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরামর্শ নেওয়া হবে।

আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর ঠিক সাত দিন আগে মার্কিন সমর্থন নিয়ে জর্ডান উপত্যকা দখলের অঙ্গীকার করেন নেতানিয়াহু।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, জর্ডান উপত্যকা ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত এমন একটি এলাকা, যেখানে ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি এবং ১১ হাজার অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীর বসবাস।