যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ইসরায়েলের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ!

যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ইসরায়েল গুপ্তরচরবৃত্তি করছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একাধিক মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছিলো, হোয়াইট হাউজ থেকে উদ্ধার হওয়া গোয়েন্দা সামগ্রীর সঙ্গে ইসরায়েল জড়িত থাকতে পারে।  

_108766334_056397819

মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেশটির সাবেক তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়, হোয়াইট হাউজের কাছে পাওয়া সারভাইলেন্স ডিভাইসের পেছনে ইসরায়েল জড়িত থাকতে পারে। তবে এর বিরুদ্ধে নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে অভিযোগকে ‘ডাহা মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে কোনও গোয়েন্দা কার্যক্রম না চালানোর ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে। এটা আমাদের অনেক দিনের অঙ্গীকার। 

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ইসরায়েল এমন কাজ করতে পারে তা তিনি বিশ্বাস করেন না। তিনি বলেন, বিষয়টি বিশ্বাস করা খুবই কঠিন। ইসরায়েলের সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। ট্রাম্প বলেন, যেকোনও কিছুই সত্যি হতে পারে তবে আমি তা বিশ্বাস করি না।

বৃহস্পতিবার পলিটিকোর প্রতিবেদনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় হোয়াইট হাউজের কাছে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে ব্যবহৃত ডিভাইস পাওয়ার খবর জানা যায়। এছাড়া ওয়াশিংটন ডিসির অন্যান্য স্পর্শকাতর এলাকায়ও এই ডিভাইস পাওয়ার কথা জানা যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক এক মার্কিন কর্মকর্তা পলিটিকোকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতেই স্টিংরেস নামে পরিচিত ওই ডিভাইস বানানো হয়েছে। গুপ্তচরবৃত্তির এই প্রচেষ্টা সফল হয়েছে কিনা, তা পরিষ্কার নয়।

নেতানিয়াহু অভিযোগ অস্বীকার করলেও অতীতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ইসরায়েলের গুপ্তচরবৃত্তির রেকর্ড আছে। এর আগে ২০০৫ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সাবেক এক কর্মী ইরান নিয়ে মার্কিন গোপন নথি ইসরায়েলকে সরবরাহ করেছিলেন। এজন্য তাকে প্রথমে ১৩ বছরের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়। পরে অবশ্য সেটা ১০ মাসের গৃহবন্দিতে নেমে আসে।