মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২৩

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের বিরাও এলাকায় দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছে। শনিবার দেশটিতে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন প্রাণহানির এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।16
এ সংঘর্ষে আরও অনেকে আহত হয়েছে। সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলটিতে দেশটির সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। সেখানে শান্তি-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কাজ করছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন।

সুদান সীমান্তের কাছে বিরাওতে সংঘর্ষ হয় সশস্ত্র গোষ্ঠী পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য রেনেসাঁ এবং মুভম্যান্ট অব সেন্ট্রাল আফ্রিকান ফ্রিডম ফাইটার্স ফর জাস্টিস-এর মধ্যে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির সশস্ত্র ১৪টি গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারের শান্তিচুক্তি হয়। এতে সম্প্রতি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া ওই দুই গোষ্ঠীও রয়েছে। নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে গত ফেব্রুয়ারির শান্তিচুক্তি স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মুখপাত্র ভ্লাদিমির মনতেইরো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হলেও সেখানে ফের কোনও সংঘর্ষ হয়নি।’ তবে শনিবারের ঘটনায় এক শান্তিরক্ষী ‘সামান্য আহত’ হয়েছেন। তবে ওই শান্তিরক্ষীর জাতীয়তা প্রকাশ করেননি তিনি। তবে ওই এলাকার কাছে বহুজাতিক বাহিনীর একটি জাম্বিয়ান দলও মোতায়েন রয়েছে।

৫ সেপ্টেম্বর দেশটির প্রেসিডেন্ট ফাউস্টিন আর্চেঞ্জ তাউয়াদেরা জানান, ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিস বোজিজের পতনের পর কয়েক ধরা চলা সহিংসতার অবসানে গত ফেব্রুয়ারিতে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি বেশ কাজে দিয়েছে। তবে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষের ফলে সেখানে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

এর আগে ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৭ সালেও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এসব চুক্তি লঙ্ঘনের মাধ্যমে সমঝোতা থেকে সরে যায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের মোট জনসংখ্যা ৪৫ লাখ। সহিংসতার কারণে এর প্রায় অর্ধেক মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তারা এখন মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। ২০১৪ সাল থেকে সেখানে ১২ হাজার শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে। তারা দেশজুড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কাজ করছে।