আফগান প্রেসিডেন্টের সমাবেশে আত্মঘাতী হামলা, তালেবানের দায় স্বীকার

আফগানিস্তানে মঙ্গলবারের দুই বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। একটি হামলা চালানো হয়েছে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির নির্বাচনি সভার কাছে। অপর হামলাটি সংঘটিত হয় কাবুলের গ্রিন জোনে। হামলার দায় শিকার করে দেওয়া এক বিবৃতিতে তালেবান দাবি করেছে, নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু বানাতেই এই হামলা চালিয়েছে তাদের একজন আত্মঘাতী সদস্য।  

download

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দ্বিতীয় পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য এ নির্বাচনেও প্রার্থী হচ্ছেন ঘানি। নির্বাচনকে সামনে রেখে এক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। রয়টার্স জানিয়েছে, ঘানি যখন ভাষণ দিতে যাচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়।

তালেবান আসন্ন নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে। ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রমুখী না হয় তার জন্য আফগানিস্তানের ও বিদেশি বাহিনীগুলোর সঙ্গে লড়াই তীব্র করে তোলার শপথ নিয়েছেন তালেবান কমান্ডাররা। মঙ্গলবারের হামলা সম্পর্কে তালেবনের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেন, দুটি হামলাতেই তালেবান জড়িত ছিল। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করেই তারা এই হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনি সভায় যারা প্রেসিডেন্ট ঘানির সুরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তালেবান। একইসঙ্গে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরও হত্যার পরিকল্পনা ছিল।

প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেউ হতাহতের শিকার হয়েছেন কি না তা এখনও জানা যায়নি। পারওয়ান প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র ওয়াহিদা শাহকার জানান, নির্বাচনি সভার প্রবেশ দ্বারের কাছে এই হামলা চালানো হয়। সেখানকার হাসপাতালের প্রধান আবদুল কাশিম সানজিন আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, হতাহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। 

পারওয়ানে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার কাবুলের গ্রিন জোনে আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, মার্কিন দূতাবাস ও ন্যাটো সদর দফতরের কাছে এই হামলার দায়ও স্বীকার করেছে তালেবান।

আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর সম্প্রতি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর কথা জানায় তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। তবে গত সপ্তাহে ওই আলোচনাকে মৃত ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আফগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর এরমধ্যে দেশজুড়ে হামলা অব্যাহত রয়েছে। তালেবান সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আফগান সরকার ও বিদেশি বাহিনীর ওপর হামলা তীব্র করে জনগণকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখা হবে।