মোদি জাকির নায়েককে ফেরত চাননি: মাহাথির

সেপ্টেম্বরের শুরুতে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের মধ্যে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের পর ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মাহাথির মোহাম্মদের কাছে জাকির নায়েককে ভারতে ফেরানোর অনুরোধ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তবে মঙ্গলবার সকালে মালয়েশিয়ার একটি রেডিও স্টেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাহাথির মোহাম্মদ দাবি করেছেন, মোদি বিতর্কিত ইসলামি বক্তা জাকির নায়েককে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানাননি।মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ

ভারতের আদালতে অর্থপাচার ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে জিহাদি কার্যক্রম উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে জাকিরের বিরুদ্ধে। তিন বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন তিনি। দিল্লির পক্ষ থেকে ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিক আবেদন করা হলেও মালয়েশিয়া তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে অনিচ্ছা প্রকাশ করে আসছে।

৬ সেপ্টেম্বর রাশিয়ায় ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে মাহাথিরের সঙ্গে এক পার্শ্ব বৈঠকে অংশ নেন মোদি। পরে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে দাবি করেন, মাহাথিরের কাছে জাকির নায়েককে ফেরত চেয়েছেন মোদি। এ ব্যাপারে দুই দেশই একমত হয়েছে যে, যেহেতু এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাই দুই দেশের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবেন। তবে মঙ্গলবার সকালে মালয়েশীয় রেডিও স্টেশন বিএফএম-এর ব্রেকফাস্ট গ্রিল শো-এ মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, ‘তাকে খুব বেশি দেশ চায় না। আমি মোদির সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি এই লোকটাকে আমার কাছে চাননি’। 

মালয়েশিয়ায় ধর্ম ও জাতিগত ইস্যুকে স্পর্শকাতর বিবেচনা করা হয়। দেশটির ৬০ শতাংশ মানুষ মুসলমান আর বাকিরা চীন ও ভারতের নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। এদের বেশিরভাগই সনাতন ধর্মাবলম্বী। সম্প্রতি জাকির নায়েক মন্তব্য করেছেন, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের চেয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা সংখ্যালঘু হিন্দুরা শতগুণ বেশি অধিকার ভোগ করছেন। মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী হিন্দুরা দেশটির চেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করেন বেশি। এই বর্ণবাদী মন্তব্যের জেরে তোপের মুখে পড়েছেন জাকির। ভারতও তাকে দেশে ফেরানোর কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেছে।