পরমাণু চুক্তির বাস্তবায়নই মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নিরসনের একমাত্র পথ: ম্যার্কেল

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা নিরসনে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে ফিরে যাওয়াই এখন একমাত্র পথ বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল। মঙ্গলবার জর্ডানের বাদশা আব্দুল্লাহর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,  আমরা বিশ্বাস করি পরমাণু চুক্তিতে ফিরলেই ইরান পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন ও প্রয়োগ বন্ধ করবে। GettyImages-1145829767

২০১৫ সালের জুনে ভিয়েনায় ইরানের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন (পি-ফাইভ) ও জার্মানি (ওয়ান) পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দেয় তেহরান। ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে ২০১৮ সালের মে মাসে তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর নভেম্বরে থেকে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই চুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে পর্যায়ক্রমে সরে যাচ্ছে তেহরান। এর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তৃতীয়বারের মতো প্রতিশ্রুতি কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এবারের ঘোষণায় দেশটির পারমাণবিক গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার ওপর আরোপিত সব ধরনের সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই ঘোষণার পর ইরানের বিপ্লবী গার্ড সংশ্লিষ্ট তেল পরিবহন নেটওয়ার্কের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় ফ্রান্সসহ অনেক দেশ ইরানকে ওই পরমাণু চুক্তি সম্পূর্ণভাবে মেনে চলার আহ্বান জানায়।

জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে ওই চুক্তিটি ইরানের সামরিক বাহিনীর পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জনে বাধা দেবে। ওইটাই (চুক্তি) প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আমাদের সেখানে ফিরে যাওয়া দরকার।

সম্প্রতি  মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত, ইরানের তেল ট্যাংকার আটক ও সর্বশেষ সৌদির তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ম্যার্কেল বলেন, সম্প্রতি ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেবল দীর্ঘমেয়াদী সমাধান সম্ভব এবং জার্মানি সব সময় উত্তেজনা প্রশমনের পক্ষে।