হুথিদের হামলা সৌদি আরবের জন্য সতর্কবার্তা: ইরান

 সৌদি আরবের  রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান আরামকোর তেল পরিশোধনাগারে হুথিদের ড্রোন হামলাকে রিয়াদের জন্য সতর্কবার্তা বলে মন্তব্য করলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি বলেন, ইয়েমেনে সৌদি আরবের চালানো দীর্ঘদিনের  যুদ্ধ থামানোর হুঁশিয়ারি এই হামলা।

75467

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকো-র দুইটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরানের জড়িত রয়েছে দাবি করে। হামলার পর ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিরা দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার পেছনে ইরান জড়িত বলে দাবি করে আসছে। যদিও ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

বুধবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে রুহানি বলেন, হুথিদের হামলা ছিলো সৌদি আরবের জন্য হুঁশিয়ারি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের করা অভিযোগের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়,রুহানি সৌদি আরবকে উদ্দেশ্য করে কথা বলছেন। তিনি বলেন, আমরা এই অঞ্চলে অশান্তি চাইনি। তাহলে সহিংসতা কে শুরু করে? ইয়েমেনিরা তো করেনি। সৌদি আরবই শুরু করেছে, যুক্তরাষ্ট্র, আমিরাত ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ এবং জায়নবাদী ইসরায়েল এখানে সহিংসতা শুরু করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সৌদি আরবের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দক্ষিণমুখী করে মোতায়েন করায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতিরোধ করতে পারেনি। কারণ তারা ইয়েমেন থেকে হুথি বিদ্রোহীদের ছুঁড়া ড্রোন প্রতিরোধ করতে ওইভাবে মোতায়েন করে।

ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুথিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সাল থেকে লড়াই করে আসছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোট। সোমবার রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই জোটের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল মালিকি জানান, কোথা থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে তা খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ইরানি আর আমরা এখন হামলা চালানোর স্থান নির্ধারণে কাজ করছি...এই সন্ত্রাসী হামলা হুথি যোদ্ধাদের দাবি অনুযায়ী ইয়েমেন থেকে চালানো হয়নি’।