নেতানিয়াহুর জাতীয় ঐক্যের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলেন গান্তজ

ইসরায়েলের নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতীয় ঐক্যের ডাক দেওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি  গান্তজ। মূলত তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গান্তজকে জোট সরকার গঠনের এ আহ্বান জানান। তবে দেশটির মধ্য-বামপন্থী ওই নেতা  নেতানিয়াহুর ওই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তিনি উদার সরকার গঠন করতে চান। মঙ্গলবারের ওই সংসদীয় নির্বাচনের পর দলের প্রথম বৈঠকে তিনি বলেন, ‘তিনি এখন ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় দলের নেতা।’im-108649

১৭ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের জাতীয় নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হন নেতানিয়াহু। সাবেক সেনাপ্রধান বেনি গান্তজের সঙ্গে সমান অবস্থানে আছেন তিনি। এ নির্বাচনকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নেতানিয়াহুর জন্য একটি কঠিন পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছিল। এবারের নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে টানা পঞ্চমবারের মতো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন নেতানিয়াহু। তবে ভোটের মাঠে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বেনি গান্তজের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়।

এরপরই জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন নেতানিয়াহু। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজের দুর্বল অবস্থানের কারণে আগের নীতি থেকে সরে এসেছেন তিনি। তবে গান্তজ নেতানিয়াহুর ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘ইসরায়েলের জনগণের ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য আমার নেতৃত্বে একটি বিস্তৃত ও উদার ঐক্যবদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনি প্রচারণার সময় আমি ডানপন্থী সরকার গঠনের কথা বলেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে এখন তা সম্ভব না। তিনি বলেন, ‘বেনি, আমাদের অবশ্যই ঐক্যের সরকার গড়তে হবে। আমাদের দুজনের কাছেই জাতি এটা আশা করছে।’

নেতানিয়াহু বলেন, দুই বড় দলের নেতাদের মধ্যে বৈঠক না করে ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠন করা অসম্ভব। ‘আমি হতাশ যে, এই মুহূর্তে বেনি গান্তজ বৈঠক করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।’

ইতোমধ্যে নেতানিয়াহুর এই আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিভেন রিভলিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আমি আপনার এই আহ্বানের জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই। এই আহ্বান খুবই জরুরি ছিলো।’