ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর ওপর হামলায় ইসরায়েলকে সহায়তা করছে সৌদি বিমান!

সিরিয়া-ইরাক সীমান্তে ইরানের শিয়াপন্থী মিলিশিয়াদের ওপর সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের যুদ্ধ বিমানের যোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টের আরবি সাইটকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পশ্চিমা সূত্র এ তথ্য জানায়। সম্প্রতি সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার পর ইরানকে দায়ী করার পর তেল আবিবের সঙ্গে ওই হামলায় যোগ দেয় বলে রিয়াদের যুদ্ধ বিমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তবে পরে পশ্চিমা ওই সূত্রের দাবি অস্বীকার করেছে সৌদি কর্মকর্তারা।royal-saudi-air-force-eurofighter-typhoon-fighter-aircraft-jet

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকো-র দুইটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরানের জড়িত রয়েছে দাবি করে। হামলার পর ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিরা দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার পেছনে ইরান জড়িত বলে দাবি করে আসছে। যদিও ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের আরবি সাইটকে ওই সূত্র জানিয়েছে, সৌদি আরবের যুদ্ধ বিমানগুলো অন্যদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সোমবার রাতে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের আলবুকামাল এলাকায় ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ার অবস্থান ও আবাসনে বিমান হামলা চালায়। ওই রাতে তাদের চারটি বিমান হামলায় পাঁচ থেকে ১৬ ইরাকি যোদ্ধা নিহত হয়ে থাকতে পারে।

ওই সূত্র জানিয়েছে, সৌদি ও ইসরায়েলি ওই বিমান হামলায় মূলত লক্ষ্য ছিলো ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড কর্পস’র (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের অবস্থান। দায়েশ (আইএস) বিরোধী বৈশ্বিক জোট ইতোমধ্যে কুদস ফোর্স ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অন্যদেরও লক্ষ্যবস্তুতে অন্তর্ভূক্ত করতে শুরু করেছে।

তবে পশ্চিমা ওই সূত্রের দাবি পরে অস্বীকার করেছে সৌদি আরবের কর্মকর্তারা।