ইয়েমেনে কয়েক হাজার সৌদি সেনা আটক?

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, সৌদি আরবের বিপুল সংখ্যক সেনাকে আটক করেছে তারা। তাদের দাবি, দুই দেশের সীমান্তের কাছে বড় ধরনের হামলার পর কয়েক হাজার সৌদি সেনাকে ধরা হয়। তবে হুতিদের এই দাবির ব্যাপারে সৌদি আরবের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Capture

২০১৪ সালে রাজধানী সানা দখলের পর সৌদি সমর্থিত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদু রাব্বু মনসুর আল হাদিকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে হুথি বিদ্রোহীরা। দেশের বাইরে থাকা হাদিকে দেশে ফেরাতে ২০১৫ সালের জুনে ইয়েমেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। সেই থেকে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে।

হুতিদের এক মুখপাত্র বিবিসির কাছে দাবি করেন, সৌদির শহর নাজরানের কাছে দেশটির তিন ব্রিগেড সেনা হুতিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। হাজার হাজার সৌদি সেনাকে আটক করা হয়েছে। অনেক সেনা নিহত হয়েছে। হুতি মুখপাত্র বলেছেন, সৌদি জোটের সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর এটাই ছিল সবচেয়ে বড় অভিযান। কর্নেল ইয়াহিয়া সারেয়া নামের ওই হুতি মুখপাত্র বলেন, সৌদি বাহিনী ব্যাপক প্রাণহানির শিকার হয়েছে। তাদের সমরাস্ত্রেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সৌদির বন্দী সেনাদের আজ হুতি-পরিচালিত আল মাসিরাহ টেলিভিশন নেটওয়ার্কে দেখানো হবে।

হুতিরা বলছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর তারা সৌদির দুটি তেল স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সৌদির তেল উৎপাদন ব্যাহত হয়। বিশ্ববাজারে তেলের দাম হুহু করে বেড়ে যায়। হুতিরা দায় নিলেও হামলার জন্য ইরানকে দোষারোপ করে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি। তবে শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান।

ইয়েমেন যুদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। যুদ্ধে হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে। দেশটি এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।