ইমরান খানের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েই বিমান ফিরিয়ে নেন সৌদি যুবরাজ!

জাতিসংঘ অধিবেশন শেষে দেশে ফেরার সময় সৌদি যুবরাজের দেওয়া বিমানেই যাওয়ার কথা ছিলো পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। তবে কারিগরী ত্রুটির কারণেই বাণিজ্যিক বিমানে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে শোনা গিয়েছিলো। এবার পাকিস্তানি সাময়িকী ফ্রাইডে টাইমস জানালো নতুন এক খবর। কারিগরী ত্রুটি নয়, বরং ইমরান খানের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েই ব্যক্তিগত জেটটি ফেরত নেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে এমন দাবি অস্বীকার করেছে পাকিস্তান সরকার।

Capture

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আগে সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন ইমরান খান। সফর শেষে জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে বাণিজ্যিক বিমানে তার নিউ ইয়র্ক যাওয়ার কথা ছিল। তবে সৌদি যুবরাজের  অনুরোধে  ইমরান খান তার সঙ্গেই ব্যক্তিগত জেট বিমানে নিউ ইয়র্কে যান। তবে ২৮ সেপ্টেম্বর ইসলামাবাদে ফেরার সময় বাণিজ্যিক বিমানে দেশে ফেরেন তিনি।

এতদিন শোনা যাচ্ছিলো যুবরাজের বিমানে কারিগরী ত্রুটি থাকায় এমনটি করতে হয়েছিলো ইমরান খানকে। তবে ৪ অক্টোবর প্রকাশিত  ‘ফ্রাইডে টাইমস’র এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন কূটনৈতিক আচরণে নিউ ইয়র্কে ‘বিচ্ছিন্ন’ হয়ে পড়েন সৌদি যুবরাজ। সেখানে সৌদি যুবরাজকে এড়িয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে একটি ইসলামিক ব্লক গঠনের উদ্দেশ্যে আলাদা বৈঠক করেন ইমরান‌ খান। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিয়ে ইরানের সঙ্গেও আলোচনায় বসেন তিনি। ইমরান খানের এমন ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হন যুবরাজ।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জাতিসংঘ অধিবেশনের পার্শ্ববৈঠকে বিবিসির মতো একটি সংবাদমাধ্যম খোলার ব্যাপারে তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে কথা বলেন ইমরান খান। মুসলমানদের সমস্যাকে তুলে ধরা ও ইসলাম-আতঙ্ক দূর করার জন্যই এ সংবাদমাধ্যম খোলা হবে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া ওই অধিবেশনের সময় পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজের অনুরোধে তিনি উপসাগরীয় অঞ্চলের উত্তেজনা কমাতে ইরানের সঙ্গে মধ্যস্থতা করার জন্য আলোচনা চা‌লাবেন।

‘ফ্রাইডে টাইমস’ ম্যাগাজিনের এই দাবিকে অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান সরকারের একজন মুখপাত্র। তিনি বলেন, এটা ‘মনগড়া কাহিনি’।  তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি পুরোপুরি কল্পিত। পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে ভাল সম্পর্কই রয়েছে। তার দাবি, ওই প্রতিবেদন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ওই প্রতিবেদনকে অস্বীকার করছি।’