আফগানিস্তানে আল কায়েদার দক্ষিণ এশীয় প্রধান নিহত

যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান বাহিনীর যৌথ সামরিক অভিযানে আল কায়েদার এক শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কাবুলের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। অসিম ওমর নামে ওই আল কায়েদা নেতা সংগঠনটির দক্ষিণ এশীয় প্রধান ছিলেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর হেলমান্দ প্রদেশে এক তালেবান অবস্থানে চালানো অভিযানে ৪০ বেসামরিক ব্যক্তির সঙ্গে ওই আল কায়েদা নিহত হয়। মঙ্গলবার আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা দফতর (এনডিএফ) ওই আল কায়েদা নেতা নিহত হওয়ার কথা প্রকাশ করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও আল কায়েদার তরফ থেকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়নি।আল কায়েদার দক্ষিণ এশীয় প্রধান অসিম ওমর

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার,পেন্টাগন এবং পেনসিলভানিয়ায় সন্দেহভাজন আল কায়েদার হামলায় প্রাণ হারায় ৩ হাজার মানুষ। এই হামলার জেরে জঙ্গিগোষ্ঠীটির তৎকালীন শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে দেশটিতে আগ্রাসন শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ বাহিনীর হামলায় নিহত হয় আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আল কায়েদার দক্ষিণ এশীয় অংশ প্রতিষ্ঠাতার পর থেকে এর প্রধান ছিলেন অসিম ওমর।

মঙ্গলবার টুইটারে প্রকাশিত এনডিএস-এর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তালেবানদের শক্ত অবস্থান মুসা কালা জেলার একটি ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান বাহিনীর ওই যৌথ অভিযান চালানো হয়। ওই ঘাঁটিতে অসিম ওমর ও আল কায়েদার দক্ষিণ এশীয় অংশের অন্য সদস্যরা লুকিয়ে ছিল। ওই অভিযানে অসিম ওমরের সঙ্গে আল কায়েদার আরও ছয় সদস্য নিহত হয়। বিবৃতির পাশাপাশি অসিম ওমরের জীবিত ও মৃত অবস্থার দুটি ছবি প্রকাশ করেছে এনডিএস। তবে এই মৃতদেহের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়। আফগান কর্মকর্তারা বলছেন, ওই অভিযানের অংশ হিসেবে চালানো বিমান হামলায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ৪০ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়।

অসিম ওমর সম্পর্কে খুব কম তথ্য জানা যায়। ভারতে জন্ম নেওয়া এই জঙ্গির বেড়ে ওঠা পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী শহর মিরানশাহে। আফগান সীমান্তবর্তী এই শহরটি এক সময়ে জঙ্গিদের শক্ত অবস্থান ছিলো। আল কায়েদায় যোগ দেওয়ার আগে অসিম ওমর হরকাতুল মুজাহিদিন বা জইশ-ই-মোহাম্মদের মতো কাশ্মির ভিত্তিক সংগঠনে কাজ করেছে বলে জানা যায়।