সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে পেন্টাগনের সঙ্গে আলোচনা ট্রাম্পের

তুরস্কের সামরিক অভিযানের মুখে সিরিয়া সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত কয়েক দিন ধরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার ছাড়াও কথা বলেছেন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মাইলির সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতরের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
বিবৃতিতে পেন্টাগনের মুখপাত্র জোনাথন হফম্যান বলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে, তুরস্ক একতরফাভাবে পদক্ষেপ বেছে নিয়েছে। ফলে আমরা উত্তর সিরিয়ায় তুর্কি অভিযান থেকে মার্কিন বাহিনীর সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য তাদের সরিয়ে নিয়েছি। সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতির কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।

এদিকে তুর্কি সামরিক অভিযানের মুখে দেশটির সিরীয় সীমান্ত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজ দল রিপাবলিকান পার্টি এবং বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমালোচনার মুখে ট্রাম্প মনে করিয়ে দিয়েছেন, তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার এবং ন্যাটো মিত্র।

সোমবার সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয় তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন,সন্ত্রাসী আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতেই তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা। তুরস্কের অভিযান চালানোর ঘোষণার পর ওই অঞ্চল থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সরিয়ে নেওয়াকে ‘পেছন থেকে ছুরিকাঘাত’ বলে মন্তব্য করেছে দেশটি সমর্থিত সিরিয়ায় সক্রিয় থাকা কুর্দি বাহিনী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এসডিএফ)।

টুইটারে দেওয়া সিরিজ পোস্টে ট্রাম্প বলেন, অনেকেই ভুলে গেছেন তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার। তারা ন্যাটো জোটেরও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহীদের ত্যাগ করেনি বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমরা হয়তো সিরিয়া ত্যাগের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। কিন্তু কোনওভাবেই কুর্দিদের ত্যাগ করা হচ্ছে না। আমাদের বিশেষ ও দুর্দান্ত যোদ্ধারা রয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স।