রাখাইনে বাস থামিয়ে ৩১ যাত্রীকে অপহরণ করেছে বিদ্রোহীরা: সেনাবাহিনী

মিয়ানমারের রাখাইনের গ্রামীণ এলাকায় একটি বাস থামিয়ে ৩১ যাত্রীকে অপহরণ করেছে দেশটির জাতিগত বিদ্রোহীরা। অপহৃতদের বেশিরভাগই ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও নির্মাণ শ্রমিক। রবিবার রাখাইনের রাজধানী শিতেগামী একটি বাস থেকে তাদের অপহরণ করা হয় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ওই এলাকার বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

1384178

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, রাজধানী শিতে’র উদ্দেশ্যে যাত্রা করা একটি বাসকে পতাকা উড়িয়ে থামায় নাগরিক পোশাকে সজ্জিত এক ব্যক্তি। আর তার পেছনে জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল খেলাধুলার পোশাক পরা ১৮ বিদ্রোহী। বন্দুক তাক করে যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে নেয় বিদ্রোহীরা।

কর্নেল উইন জ্য উও ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘আমরা এখনও তাদেরকে অনুসরণ করছি। হয়তো ভুল করে সেনাবাহিনীর সদস্য ভেবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের ধরে নিয়েছে তারা।’

রাখাইনের জাতিগত বৌদ্ধদের অধিক স্বায়ত্তশাসনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়ছে আরাকান আর্মি। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আরাকান আর্মিতে যোগ দিয়েছে হাজারো তরুণ। গত বছরের শেষ দিক থেকে নতুন করে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা জোরালো করে গোষ্ঠীটি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে চারটি পুলিশ পোস্টে একযোগে হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে তারা। এই ঘটনার পর আরাকান আর্মির অবস্থানের ওপর হামলা জোরালো করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সহিংসতার কারণে নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে রাখাইনের বেশ কয়েক হাজার বাসিন্দা।

সর্বশেষ ওই ৩১ জনকে অপহরণের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সেখানে ওই বিদ্রোহীদের দমনে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী সাধারণ নাগরিকদেরকে অপহরণ করে তাদের ওপর নির্যাতন করে।